আরও দীর্ঘ হচ্ছে তালিকা। বৃহস্পতিবার হজভূমিতে পদপিষ্ট হয়ে এখনও পর্যন্ত ২২ জন ভারতীয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। গত কাল প্রাথমিক ভাবে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে কেরল কিংবা তেলঙ্গানা থেকে কোনও মৃত্যুর খবর ছিল না। পরে অবশ্য তা শুধরে নেয় বিদেশ মন্ত্রক। জানানো হয়, গুজরাত থেকে ৯ জন, তামিলনাড়ু থেকে ৩ ও কেরল-তেলঙ্গানা থেকে ১ জন করে হজযাত্রী মারা গিয়েছেন।
পদপিষ্ট হয়ে ১৩ জন ভারতীয় আহত হয়েছেন বলেও বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর। যদিও তাঁরা কোন রাজ্যের, জানা যায়নি। হতাহতের সংখ্যা নিয়ে আজও সরকারি তরফে কিছু জানায়নি সৌদি আরব। ধোঁয়াশা রয়েছে এই বিপর্যয়ের কারণ নিয়েও।
ইরান-সহ মুসলিম দুনিয়ার একটা বড় অংশ কালই এই ঘটনায় প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ এনে কাঠগড়ায় তুলেছে সৌদিকে। আজ ইরান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, গোটা ঘটনায় সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত হচ্ছে তারা।
তবে এরই মধ্যে গ্র্যান্ড মুফতি পাশে দাঁড়ানোয় কিছুটা হলেও স্বস্তিতে সৌদি প্রশাসন। হজভূমির বিপর্যয়ে ‘মানুষের কোনও হাত নেই’ বললেন দেশের ধর্মীয় প্রধান শেখ আবদুল আজিজ বিন-আবদুল্লাহ আল-শেখ। পদপিষ্ট হয়ে ৭৬৯ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যুকে ‘আল্লার ইচ্ছে’ বলে আগেই বিতর্কে জড়িয়েছে প্রশাসন। এ বার মুফতির বক্তব্যেও এক সুর। আজই তাঁর সঙ্গে দেখা করেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা যুবরাজ মহম্মদ নইফ। এই বিপর্যয়ের কারণ খতিয়ে দেখতে সৌদি রাজা সলমন যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন, তার শীর্ষে এই যুবরাজই। তিনিই আবার মক্কা হজ কমিটির প্রধান। কী বললেন
তাঁকে মুফতি? ধর্মীয় নেতার যুক্তি— মৃত্যুতে মানুষের হাত নেই। নিয়তিতে লেখা থাকলে, তা ঘটবেই। শুধু
তাই নয়, এই বিপর্যয়ে সৌদি প্রশাসন বিশেষত মক্কা হজ কমিটির প্রধানকে দোষী করা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy