ঢিলেমির জন্য নয়, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণেই সময়মতো তেজস যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে পারেনি! এমনই জানাল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘হিন্দুস্থান অ্যারোনটিকস লিমিটেড’ (হ্যাল)। তবে বর্তমানে সেই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়েছে। শীঘ্রই ভারতীয় বিমানবাহিনীকে তারা তেজস সরবরাহ করবে বলেও আশ্বস্ত করেছে হ্যাল। ঘটনাচক্রে, সময়মতো তেজস যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে না পারা নিয়ে বারবার সমালোচনা করেছেন ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত সিংহ। মঙ্গলবারই তিনি জানান, হ্যালের উপর আর তাঁদের আস্থা নেই।
২০২৩ সলের অক্টোবরে তেজসের মার্ক-১ ফাইটার জেটের দু’আসন বিশিষ্ট নয়া প্রশিক্ষণ সংস্করণটি আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলে দেওয়া হয়েছিল বায়ুসেনার হাতে। প্রাথমিক ভাবে, বেঙ্গালুরুর সংস্থা হ্যালকে ৪০টি যুদ্ধবিমানের বরাত দেওয়া হয়। পরে ৮৩টি তেজস কেনার জন্য হ্যালকে বরাত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রথম বরাতের যুদ্ধবিমানের সব ক’টি এখনও পাওয়া যায়নি। তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বায়ুসেনার প্রধান। মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুর ইয়ালেহাঙ্কা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ‘অ্যারো ইন্ডিয়া ২০২৫’-এ যোগ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে হ্যালের উপর আমাদের আস্থা নেই।’’
তার পরই হ্যালের চেয়ারম্যান ডিকে সুনীল তেজসের সরবরাহে দেরি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন। তিনি এ ব্যাপারে বলেন, ‘‘বায়ুসেনার প্রধানের উদ্বেগের কারণ যথেষ্ট সঙ্গত। তবে আমি বলতে চাই, তেজস সরবরাহে বিলম্বের কারণ ঢিলেমি নয়। আমাদের প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যা ছিল, যা এখন সমাধান করা সম্ভব হয়েছে।’’ চলতি বছরের শেষে তিনটি তেজস যুদ্ধবিমান সেনাবাহিনীকে দেওয়া হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে বরাত অনুযায়ী সব যুদ্ধবিমান সরবরাহ করে দেওয়া হবে বলেও জানান হ্যালের চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হালকা ওজনের, ‘মাল্টি রোল সুপারসনিক’ যুদ্ধবিমান তেজস নানা ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম। এর ৬৫ শতাংশেরও বেশি যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জাম ভারতীয় সংস্থাগুলির তৈরি। চিনের জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানের তুলনায় তেজসের নয়া সংস্করণ প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে এগিয়ে বলে একাধিক আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিষয়ক রিপোর্টে জানানো হয়েছে।