তেজস বিপর্যয়ের ঘটনায় এ বার বিবৃতি দিল নির্মাণকারী সংস্থা হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)। পাঁচ বাক্যের ওই বিবৃতিতে হ্যালের দাবি, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। গত শুক্রবার দুবাইয়ে এয়ার শো চলাকালীন ভেঙে পড়ে ভারতের তৈরি যুদ্ধবিমান তেজস। মৃত্যু হয় বায়ুসেনার পাইলট উইং কমান্ডার নমন স্যালের। তেজস বিপর্যয়ের তিন দিন পরে বিবৃতি দিয়ে হ্যাল জানাল, ওই দুর্ঘটনাটি ব্যতিক্রমী পরিস্থিতির কারণে ঘটা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
বিবৃতিতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হ্যাল আরও দাবি করেছে, সংস্থার ব্যবসায়িক কাজকর্ম এবং আর্থিক ক্ষেত্রে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। আগামী দিনে ‘হ্যাল’র তরফে সরঞ্জাম (তেজস বা অন্য সামরিক সরঞ্জাম) সরবরাহেও কোনও প্রভাব পড়বে না বলে দাবি সংস্থার। তেজস বিপর্যয়ের পরে প্রথম প্রতিক্রিয়াতেই ভারতীয় বায়ুসেনা জানিয়েছে, ওই দুর্ঘটনার তদন্ত (কোর্ট অফ এনকোয়ারি) করা হবে। এ অবস্থায় হ্যাল বিবৃতিতে জানাল, সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করবে তারা।
শুক্রবারের তেজস বিপর্যয়ের পরে সোমবারই শেয়ার বাজারে তার কিছুটা প্রভাব দেখা গিয়েছে। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই)-এ হ্যালের শেয়ার আট শতাংশেরও বেশি কমে যায়। এ অবস্থায় সোমবার হ্যালের তরফে এই বিবৃতি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বস্তুত, দুবাইয়ের এয়ার শো বিশ্বের অন্যতম বড় বাণিজ্যিক এয়ার শো। দু’বছরে এক বার করে এই এয়ার শো আয়োজিত হয়। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থা এতে অংশগ্রহণ করে। কোটি কোটি ডলারের ব্যবসা হয় এই এয়ার শো চলাকালীন।
আরও পড়ুন:
গত সপ্তাহে দুই উড়ান সংস্থা ‘এমিরেট্স’ এবং ‘ফ্লাই দুবাই’ কোটি কোটি ডলারের চুক্তি সেরেছে এই এয়ার শো থেকে। ভারতীয় সংস্থা হ্যাল-এর তৈরি যুদ্ধবিমান তেজসও অংশ নিয়েছিল এখানে। লক্ষ্য ছিল এই যুদ্ধবিমানকে আন্তর্জাতিক বাজারের নজরে আনা। কিন্তু এয়ার শোয়ে তেজস ভেঙে পড়ায় তা কিছুটা ধাক্কা খেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
গত দু’বছরেরও কম সময়ে (২০ মাসের মধ্যে) এই নিয়ে দ্বিতীয় বার দুর্ঘটনার কবলে পড়ল তেজস যুদ্ধবিমান। গত বছরের মার্চে রাজস্থানের জৈসলমেরের কাছে ভেঙে পড়েছিল একটি তেজস। এ বার দুবাইয়ে ভেঙে পড়ে ভারতের তৈরি যুদ্ধবিমান তেজস।