E-Paper

শিক্ষা মিশনে টাকা আটকানোয় আপত্তি স্থায়ী কমিটিরও

কংগ্রেস সাংসদ দিগ্বিজয় সিংহের নেতৃত্বাধীন শিক্ষা, নারী, শিশু, যুবা ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, সমগ্র শিক্ষা মিশনের সঙ্গে যে রাজ্য ‘পিএম শ্রী’ প্রকল্পকে যুক্ত না করবে না তাকে বকেয়া প্রাপ্য অর্থ দেওয়া হবে না

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৫ ০৬:৫২

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সমগ্র শিক্ষা মিশনে কেন্দ্রের বকেয়া অর্থ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আজ তাতে ঘৃতাহুতি দিল সংসদীয় স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট।

কংগ্রেস সাংসদ দিগ্বিজয় সিংহের নেতৃত্বাধীন শিক্ষা, নারী, শিশু, যুবা ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির রিপোর্টে আজ স্পষ্ট বলা হয়েছে, সমগ্র শিক্ষা মিশনের সঙ্গে যে রাজ্য ‘পিএম শ্রী’ প্রকল্পকে যুক্ত না করবে না তাকে বকেয়া প্রাপ্য অর্থ দেওয়া হবে না— এই নীতি ঘোরতর অন্যায়। কমিটির প্রস্তাব, শিক্ষা মন্ত্রক এই নীতির পুনর্মূল্যায়ন করুক। প্রসঙ্গত, গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এর আগে তার রিপোর্টে জানিয়েছিল, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া বরাদ্দ রাজ্যকে ছেড়ে
দেওয়া আবশ্যক।

আজ শিক্ষাবিষয়ক সংসদীয় কমিটিতে বলা হয়েছে, ৩৬টির মধ্যে ৩৩টি রাজ্য ‘পিএম শ্রী’ যোজনা রূপায়ণের জন্য কেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তিপত্র সই করেছে। বলা হয়েছে, কমিটি অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে সব রাজ্য কেন্দ্রের সঙ্গে ‘পিএম শ্রী’ যোজনা রূপায়ণের জন্য চুক্তিতে সই করেনি, তাদের সমগ্র শিক্ষা মিশনের বকেয়া টাকা দেওয়া হচ্ছে না। যে তিনটি রাজ্য সই না করার কারণে বঞ্চিত, তারা পশ্চিমবঙ্গ, কেরল এবং তামিলনাড়ু। বাংলায় বকেয়া ১ হাজার কোটির বেশি, কেরালায় ৮৫৯.৬৩ কোটি এবং তামিলনাড়ুতে বকেয়া ২১৫২ কোটি। আজ রাজ্যসভায় এই রিপোর্ট পেশ
করা হয়েছে।

তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন বলেন, “২০১৪ সাল থেকেই শুরু হয়েছে মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায় রাজ। শিক্ষা যৌথ তালিকায় রয়েছে। রাজ্যের সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে নীতি প্রণয়নের ব্যাপারে নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেওয়ার। পিএম শ্রী-র থেকে অনেক ভাল যোজনা আমাদের রাজ্যে রয়েছে। কেন আমরা পিএম শ্রী-কে রাজ্যের ঘাড়ে চাপাব? তবে এই সরকার সংসদীয় কমিটির কোনও প্রস্তাবকেই পাত্তা দেয় না। আর তা না দেওয়ার কারণেই লোকসভা আসন ৩০৩ থেকে ২৪০-এ নেমেছে।”

বিষয়টি নিয়ে গত মাসেই সরব হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার বিগত কয়েক বছর ধরে বৈষম্যমূলক আচরণ করে যাচ্ছে। বাংলায় ভোটে জিততে পারছে না বলে এই প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা আটকে রাখছে। ভোটে হারজিত থাকতেই পারে। কিন্তু এ রাজ্যের শিশুরা ভারতেরও শিশু। তাদের বঞ্চিত করার কোন‌ও অধিকার নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। অবিলম্বে এই টাকা দিয়ে দেওয়া উচিত।’’

কেন্দ্রের দাবি, সমগ্র শিক্ষা মিশনের সঙ্গে ‘পিএম শ্রী’ প্রকল্পকে যুক্ত করলেই মিলবে এই অর্থ। এর মধ্যে বাংলা থেকে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা গিয়েছিলেন দিল্লিতে। টাকা পাওয়ার দাবিতে ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব, শিক্ষাসচিব ও শিক্ষামন্ত্রী বেশ কয়েক বার চিঠিও দিয়েছেন দিল্লিতে। তাতেও লাভ হয়নি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Education Fund West Bengal government Central Government Congress

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy