ফাইল ছবি
নভেম্বরে দিল্লি সফরে এসে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, উত্তরপ্রদেশ তাঁদের কাছে রাজনৈতিক অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে না। এখানে এসপি-র অখিলেশ সিংহ যাদব বিজেপির সঙ্গে লড়ছেন। দরকারে তাদের সাহায্য করা হবে।
রাজনৈতিক শিবিরের মতে, তৃণমূল কংগ্রেসের সাম্প্রতিক দলীয় সম্প্রসারণের যে উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে, তাতে উত্তরপ্রদেশও বাইরে থাকবে না। এর আগে গোয়া, ত্রিপুরা, অসম, মেঘালয়, মণিপুরের মতো রাজ্যে সংগঠন বাড়ানো এবং অন্য দল থেকে নেতা-বিধায়ক ভাঙিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক সম্প্রসারণ করেছে তৃণমূল। এ বার উত্তরপ্রদেশ নিয়েও একক ভাবে সরব হতে দেখা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে।
হরিদ্বারের সাম্প্রতিক বিতর্কিত ধর্মসভা নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। ওই ধর্মসভা নিয়ে একযোগে পুলিশ, প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করেছে তারা। ওই ধর্মসভায় হিন্দুদের হাতে বন্দুক তুলে নেওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই হরিদ্বারের জ্বালাপুর থানায় তৃণমূলের তরফে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখলের বক্তব্য, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই ধর্মসভার বক্তাদের গ্রেপ্তার না করা হলে তাঁরা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মামলা দায়ের করবেন। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকেও একটি চিঠি লিখেছেন সাকেত। তাঁর বক্তব্য, “উত্তরাখণ্ডে নির্বাচন আসন্ন। তার আগে বিজেপির সহায়তায় এই ধর্মীয় উস্কানিমূলক সভার আয়োজন হয়েছে।” সাকেতের মতে, ‘‘যদি ওই ঘৃণ্য ধর্মসভার আয়োজকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তা হলে হরিদ্বারের গঢ়বাল রেঞ্জের আইজি থেকে শুরু করে ওসি সবাইকে ট্রান্সফার করে দেওয়া উচিত কমিশনের।”
গত ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর হরিদ্বারে একটি রুদ্ধদ্বার ধর্মসংসদের আয়োজন করা হয়। যার মূল আয়োজক ছিলেন বিতর্কিত ধর্মগুরু যতি নরসিংহানন্দ। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু রক্ষা সেনার প্রবোধানন্দ গিরি, বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী উদিতা ত্যাগী এবং বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়। ভাইরাল একটি ক্লিপে দেখা যায়, প্রবোধানন্দ গিরি বলছেন, “মায়ানমারের মতো আমাদের পুলিশ, সেনা, রাজনীতিবিদ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের সমস্ত মানুষকে হাতে অস্ত্র তুলে নিতে হবে। এ বার ‘সাফাই অভিযান’ চালাতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy