E-Paper

ইডি-র বিপুল ক্ষমতার বিরুদ্ধে সওয়াল সালভের

সিবিআই-ইডি আদালতের এক প্রাক্তন বিচারককে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে নির্মাণ সংস্থা ‘এমথ্রিএম’-এর পরিচালক বসন্ত বনশল ও পঙ্কজ বনশলকে গ্রেফতার করেছে ইডি।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৩ ০৭:৩৯
harish salve.

হরিশ সালভে। ছবি: সংগৃহীত।

ইডি-কে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের জন্য তাদের হাতে লাগামহীন আইনি ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিলেন কয়েক জন আবেদনকারী। তাঁদের মধ্যে ছিলেন কার্তি চিদম্বরম, মেহবুবা মুফতি, অনিল দেশমুখের মতো বিরোধী রাজনীতিকেরা। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য তখন ইডি-র যাবতীয় ক্ষমতায় সিলমোহর দেয়। এ দিন ইডি-র বিপুল ক্ষমতার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করলেন বিজেপি-ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হরিশ সালভে ও নরেন্দ্র মোদী জমানার প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি।

সিবিআই-ইডি আদালতের এক প্রাক্তন বিচারককে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে নির্মাণ সংস্থা ‘এমথ্রিএম’-এর পরিচালক বসন্ত বনশল ও পঙ্কজ বনশলকে গ্রেফতার করেছে ইডি। হরিয়ানার পঞ্চকুলের আদালত তাঁদের ৫ দিন হেফাজতে পাঠায়। দিল্লি হাই কোর্টে পেশ করা আবেদনে বনশল ভাইয়েরা জানান, তাঁরা অন্য একটি টাকা পাচারের মামলায় গ্রেফতারি থেকে রক্ষাকবচ পেয়েছেন। দিল্লি হাই কোর্ট এই নির্দেশে হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। ফলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বনশল ভাইয়েরা।

আজ সুপ্রিম কোর্টে সালভে বলেন, ‘‘ইডি-র হাতে বিপুল ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যদি আপনারা ওদের রাশ না টানেন, তাহলে এ দেশে কেউ নিরাপদ নয়। এই গ্রেফতারি কী ভাবে করা হয়েছে দেখুন। আমার মক্কেলরা সহযোগিতা করছিলেন। আগাম জামিনের শর্ত তাঁরা মানবেন না, এমন কথা ঘুণাক্ষরেও শোনা যায়নি। আমার অধিকার ভঙ্গ করা হলে এই আদালত হস্তক্ষেপ করতেই পারে।’’ বিচারপতি এম এম সুন্দরেশ হাল্কা সুরে বলেন, ‘‘হ্যাঁ, বেড়াল-ইঁদুরের খেলা চলছে। ওঁরা আইনগুলিকে ব্যবহার করছেন।’’

নির্দেশে বিচারপতি এ এস বোপান্না ও বিচারপতি এম এম সুন্দরেশ জানিয়েছেন, বনশল ভাইয়েরা এ বার পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করবেন।

ইডি-র ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার আগে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁকে জানানোর প্রয়োজন নেই। ইডি তদন্ত শুরুর আগে যে ইসিআইআর (এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফর্মেশন রিপোর্ট) দায়ের করে, তা গ্রেফতারির আগে দেখাতে হয় না। আবার কাউকে ইডি গ্রেফতার করলে জামিন পাওয়া কঠিন। কারণ অভিযুক্তকেই প্রমাণ করতে হয় তিনি এই ধরনের অপরাধ করেননি বলে মনে করার কারণ রয়েছে। জামিন পেয়ে ফের কোনও অপরাধ করবেন না বলেও আদালতের বিশ্বাস অর্জন করতে হয়। সাধারণত তদন্তকারী সংস্থাকে সন্দেহ করার কারণ দেখাতে হয়। এ ক্ষেত্রে অভিযুক্তের উপরেই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার দায় চাপে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Harish Salve Supreme Court ED

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy