ভারী বৃষ্টি সঙ্গে ৪০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত দিল্লি। রবিবার ভোর থেকেই শুরু হয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। আর এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে রাজধানীর কোথাও কোথাও গাছ উপড়ে গিয়েছে। ভারী বর্ষণে রাস্তাঘাট প্লাবিত। তার জেরে যান চলাচলেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
ঝড়-বৃষ্টির জেরে বিমান চলাচলেও প্রভাব পড়েছে। দিল্লি বিমানবন্দর থেকে একশোরও বেশি বিমান ওঠানামায় দেরি হয়েছে। ঝড়ের কারণে ২৫টি বিমানের পথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। বিমান ওঠানামায় দেরি হওয়ায় যাত্রীদেরও ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। যদিও এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে যাত্রীরা যাতে হয়রানির শিকার না হন, তার জন্য অ্যাডভাইজ়রি জারি করা হয়েছে বিমানবন্দরের তরফে। তাতে বলা হয়েছে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জেরে কিছু বিমান ওঠানামায় প্রভাব পড়েছে। যাত্রীদের অনুরোধ করা হচ্ছে সফরের আগে তাঁরা যেন বিমান সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন অথবা বিমান সময়সূচি সম্পর্কে খবরাখবর রাখেন।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শনিবার রাত থেকেই দিল্লিতে বৃষ্টি শুরু হয়। তবে রবিবার ভোরে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ে। সঙ্গে চলে ঝড়ের দাপটও। রবিবার ভোর পর্যন্ত সফদরজঙে বৃষ্টি হয়েছে ৮১ মিলিমিটার, পালমে ৬৮ মিলিমিটার, পুসায় ৭১ মিলিমিটার, ময়ূর বিহারে ৪৮ মিলিমিটার। শহরের অন্যত্র ৫০-৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ভারী বৃষ্টির জেরে বহু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা প্লাবিত হয়েছে। দিল্লি বিমানবন্দর যাওয়ার মূল আন্ডারপাস জলের তলায়। আন্ডারপাসে বহু গাড়ি আটকে পড়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, প্লাবিত হয়েছে মোতি বাগ, মিন্টো রোড, দিল্লি বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনাল।
শুধু দিল্লিই নয়, তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলেও ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডব চলেছে। নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা, গুরুগ্রাম-সহ এনসিআরে রবিবার ভোর থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গুরুগ্রামে সেক্টর ১০, বিকাশ নগর জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে রাজধানীতে। পাশাপাশি, কিছু অংশে আবার ঝোড়ো হাওয়ারও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শনিবারই মৌসম ভবন দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায় চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছিল। ভারী বৃষ্টি এবং ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছিল তারা।