মাত্র ৪ বছরের ছোট্ট মেয়ে সায়ন্তিকা। আর এইটুকু বয়সেই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সে। অসহায় হয়ে সাহায্য প্রার্থনা করছেন তার বাবা-মা, কণিকা এবং সন্দীপ।
কণিকা ও সন্দীপের জীবনে আলো হয়ে এসেছিল সায়ন্তিকা। গোটা ঘর মাতিয়ে রাখত সে। যাই হোক না কেন, দিনের শেষে কণিকা ও সন্দীপের ঠোঁটের কোণায় যে হাসি লেগে থাকত, তা সায়ন্তিকারই জন্যই। আজ এক মারণ রোগ সেই সব হাঁসি ফিকে করে দিয়েছে। সম্প্রতি সায়ন্তিকার কার্ডিয়াক সমস্যা ধরা পড়েছে। যার ফলে সে শ্বাস নিতে পারছে না। সারা শরীর জুড়ে তার কালো কালো ছোপ।
এর আগে অবশ্য সায়ন্তিকার শরীরে অস্ত্রপ্রচার করে তার শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক করতে পেসমেকার বসিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু এখন সেই পেসমেকারটিকেও বদলাতে হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এই মুহূর্তে সায়ন্তিকার শরীরে এইচআইএস বান্ডল পেসিং যুক্ত ডিডিডিআর পেসমেকার বসাতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। পরবর্তী সময়ে সায়ন্তিকা আরও একটু বড় হলে, সেই পেসমেকার বদলে তার হার্ট প্রতিস্থাপন করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। তবেই বাঁচবে সায়ন্তিকা।
সন্দীপ জানাচ্ছেন, "আমার মেয়ে ছোট থেকেই খুব চঞ্চল। সারা বাড়ি দৌড়ে বেড়াত। কেউ ওকে থামতে বললেও ও থামত না। সারাদিন লাফালাফি করত। এখন ও আর দৌড়ায়ে না, সারাদিন বিছানায় শুয়ে থাকে ও। ওর বিছানায় শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরানোর সেই দৃশ্য আমায় যন্ত্রণা দিচ্ছে। ও এমন কী করেছে যে ওকে এত বড় শাস্তি পেতে হচ্ছে।"
অসুখের কারণে সায়ন্তিকার সমস্ত শরীর ফুলে গিয়েছে। মাড়ি থেকে মাঝে মধ্যেই রক্ত পড়ছে। অত্যন্ত যন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে সে। বিগত ছয় মাস ধরে চিকিৎসকেরা তাকে মেডিক্যাল অ্যাসিস্টেন্স নিতে বলেছেন। কিন্তু অর্থের আভাবে সায়ন্তিকার পরিবারের কাছে তা সম্ভব হয়নি।
সায়ন্তিকার বাবা-মা মুষড়ে পড়েছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সায়ন্তিকার চিকিৎসার জন্য ৫ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। যা তাঁদের পক্ষে যোগাড় করা সম্ভব নয়। কারণ সায়ন্তিকার গোটা পরিবার চলে সন্দীপের ভরসায় যিনি কিনা একজন ভাগ চাষি। যার উপার্জনে সংসার খরচা চালানোই কঠিন, তাঁরা এই বিপুল অর্থ যোগাড় করবেন কোথা থেকে?
এই কঠিন সময়ে আপনারাই পারেন সায়ন্তিকার জীবন বাঁচাতে। তার পরিবারের পাশে এসে দাঁড়াতে। আপনাদের সকলের সম্মিলিত সাহায্যে বেঁচে উঠতে পারে একটি ছোট্ট তরতাজা প্রাণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy