কয়েক দিন আগে থেকেই সন্দেহ বাড়ছিল তাঁকে ঘিরে। মঙ্গলবার শেষমেশ পুলিশ গ্রেফতার করল মুম্বইয়ের চিত্রশিল্পী হেমা উপাধ্যায়ের বিচ্ছিন্ন স্বামী চিন্তনকে। হেমা এবং তাঁর আইনজীবী হরিশ ভামভানির খুনের মামলায় এখন চিন্তনকে অন্যতম সন্দেহভাজন বলে মনে করছে পুলিশ।
জোড়া খুনের পিছনে কী উদ্দেশ্য কাজ করেছে, তা স্পষ্ট বোঝার জন্য চিন্তনকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। অতিরিক্ত সিপি (নর্থ) ফতেসিংহ পাটিল বলেছেন, ‘‘প্রথমে চিন্তনকে জেরা করা হচ্ছিল। কিন্তু তাঁর বক্তব্যে অসঙ্গতি মেলায় পরে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ পুলিশের দাবি, এ দিনের জেরায় চিন্তন বলেছেন, অজ্ঞাতপরিচয় স্থানে পলাতক বিদ্যাধর রাজভর ওরফে গোতুর সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। পুলিশের ধারণা, সম্ভবত সেখানেই হেমা-হরিশকে মারার ছক কষা হয়েছিল। পুলিশের বক্তব্য, চিন্তনই মূল ষড়যন্ত্র করে। তবে খুনের জন্য অন্য অভিযুক্তদের সাহায্য নিতে হয়েছে তাঁকে। উপাধ্যায় দম্পতির মধ্যে বেশ কিছু মামলা নিয়ে গন্ডগোল চলছিল। পুলিশ মনে করছে, সেই থেকেই অপরাধের সূত্রপাত। বিদ্যাধরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল চিন্তনের। পুলিশ আদালতে বলেছে, তদন্তের প্রয়োজনে চিন্তনকে নিয়ে তাঁদের অন্য রাজ্যেও যেতে হতে পারে। সোমবার রাতে পুলিশের হাতে আসে কিছু নতুন তথ্য। যার উপর নির্ভর করে চিন্তনকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। তার পরেই মঙ্গলবার বক্তব্যে অসঙ্গতি মেলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
চিন্তন ছাড়া এই জোড়া খুনের মামলায় ইতিমধ্যেই ধরা হয়েছে আজাদ, প্রদীপ, বিজয় ও শিবকুমার রাজভরকে। এদের বিরুদ্ধে খুন এবং তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ এনেছে পুলিশ। এদের পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ দিনই। ধৃতদের জেরা করে পুলিশের হাতে অনেক তথ্যই এসেছে। তবে মূল পাণ্ডা অর্থাৎ বিদ্যাধরকে মুম্বইয়ের ভিতরে এবং বাইরে খুঁজে বেড়াচ্ছে পুলিশ।