আপনার পদবীটি নিয়ে সাবধানে থাকুন। মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া হলে পারিবারিক সূত্রে প্রাপ্ত সাধের পদবীটি কিন্তু যে কোনও মুহূর্তে খোয়া যেতে পারে। ঠিক এমনটাই হয়েছে রামনারায়ণ রুইয়া কলেজের ছাত্রী নিকিতা কাইটের ক্ষেত্রে। কিন্তু মার্কশিট হাতে পেয়ে চোখ ছানাবড়া। দেখলেন তাতে বড় বড় করে লেখা নিকিতা পতঙ্গ। মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় কাইটকে দিব্যি পতঙ্গ করে ছেড়ে দিয়েছে শংসাপত্রের পাতায়।
শুধু এই একটি উদাহরণ নয়। মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন উদাহরণ ভূরি ভূরি। একটু বেসামাল পদবী হলেই আমুল বদলে যাচ্ছে তা। পড়ুয়াদের গুরুত্বপূর্ণ নথিতেও ছাপার অক্ষরে বসে যাচ্ছে সেই সমস্ত আজব পদবী। মারাত্মক সমস্যায় পড়ছেন এখানকার পড়ুয়ারা। কিন্তু আসল ঘটনা ঠিক কী? কেন এমন অদ্ভুত সমস্যায় জেরবার মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়?
সমস্যার কালপ্রিট একটি সফটওয়্যার। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ডিগ্রি সার্টিফিকেট তৈরি হয় এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমেই। আর যাবতীয় আজব ভুলগুলি করে এই সফটওয়্যারটিই।
আরও পড়ুন: ‘কী ভাবে আত্মহত্যা করব’ প্রশ্নে গুগল কী করল জানলে চমকে যাবেন
সেই ভুল শংসাপত্র
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী দীপক ওয়াসেভ জানালেন, কম্পিউটারে এন্ট্রি হওয়া সমস্ত শব্দকেই স্বয়ংক্রিয় ভাবে মরাঠি ভাষায় অনুবাদ করে দেয় এটি। সফটওয়্যারের এই ‘বাগ’টির ফল হয় মারাত্মক। তা হলে উপায়?
দীপক জানাচ্ছেন, এই সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পেতে পড়ুয়াদের প্রতিটি নথি আলাদা আলাদা করে পরীক্ষা করা হয়। ভুল থাকলে তা ‘ম্যানুয়ালি’ ঠিক করেও দেওয়া হয়। কিন্তু তবু কখনও কখনও চোখ এড়িয়ে থেকে যায় এক-আধটা ভুল। যেমন হয়েছে নিকিতা কাইটের ক্ষেত্রে। রামনারায়ণ রুইয়া কলেজের প্রিন্সিপাল সুহাস পেদনেকরও ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বিশ্বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। ‘‘এই কলেজেরও দু’জনের পদবী ভুল ছাপা হয়েছে। যাতে তাঁদের নামের অর্থই পাল্টে গিয়েছে। এই সমস্যা দ্রুত ঠিক হওয়া দরকার’’— বললেন সুহাস।কিন্তু কেন এখনও এই সমস্যার সমাধান করছেন না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ? কারণ অজানা। বিশ্ববিদ্যালয় তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy