হেরেও জয়। জিতেও হার।
অন্য বারের মতোই পাঁচ বছরে সরকার বদলের ছন্দ মিলিয়েই শাসক দলকে উৎখাত করল হিমাচলপ্রদেশ। মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহকে জিতিয়েও কংগ্রেসকে ক্ষমতা থেকে সরাল। আবার বিজেপিকে জেতালেও হারিয়ে দিল তাদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী প্রেমকুমার ধুমলকে।
হিমাচলে রাজ্য নেতারাই বড় আইকন। তাই রাহুল গাঁধী নিজে তেমন প্রচার না করে গোটাটাই ছেড়ে দিয়েছিলেন ‘রাজাসাহেব’ বীরভদ্রের উপরেই। আবার ‘না’ ‘না’ করেও শেষ বাজারে ধুমলের নাম মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করতেই হয় অমিত শাহকে। আজ ভোট-ফলে কংগ্রেসের থেকে হিমাচল ছিনিয়ে উত্তর ভারতে আরও একটি রাজ্যে গেরুয়া ছাপ বসালেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা। কিন্তু খোদ ধুমলই হেরে যাওয়ায় বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াল, মুখ্যমন্ত্রী হবেন কে?
ভোটের আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জগৎপ্রকাশ নড্ডার নাম চর্চায় ছিল। এ বারে মান্ডির নেতা জয়রাম ঠাকুরের নামও রাজ্যের শীর্ষ পদে উঠে এসেছে। হরিয়ানার ধাঁচে সঙ্ঘের নেতা অজয় জামওয়ালের নামও রয়েছে আলোচনায়। দলের একাংশের মতে, বিধায়ক নন এমন কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করে যদি উপনির্বাচনে জিতিয়ে আনতে হয়, তা হলে ধুমলই বা নন কেন? আজ দলের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকেও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কারও নাম ঠিক হয়নি।
ধুমল বলেছেন, ‘‘আমার হারের থেকেও দলের জয় বড়।’’ নেতাদের মতে, হিমাচলে সব দলেই অন্তর্ঘাত, দ্বন্দ্ব প্রবল। কংগ্রেসেও বীরভদ্রের সঙ্গে দলের রাজ্য সভাপতির বিবাদ চরমে। তাই রাহুল গাঁধী হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হন। কিন্তু পঞ্জাবে অমরেন্দ্র সিংহের মতোই হিমাচলে দলকে জেতানোর দায়িত্ব ছেড়ে দেন বীরভদ্রের হাতেই। বীরভদ্রও জীবনের ‘শেষ’ লড়াইটি লড়লেন। তিনি আজ স্পষ্ট করেছেন, তাঁর জয়ী-পুত্র বিক্রমাদিত্যই এ বারে তাঁর উত্তরসূরি হয়ে দল সামলাবেন।
বিজেপিতেও অবস্থা তেমনই। ধুমলের এক সময়ের সঙ্গী রাজেন্দ্র রাণাই কংগ্রেসে গিয়ে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে হারিয়ে দিলেন। তবে হিমাচলে ভোটও ছিল মোদীর কাছে মর্যাদার লড়াই। সে কারণে গুরুত্ব দিয়ে সভা করেছেন তিনি। বীরভদ্রের পরিবারের দুর্নীতি আর প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়া উস্কে দিয়েছেন । যার দৌলতে ১৯তম রাজ্যে সরকার গড়ার কৃতিত্ব পেলেন তিনি ও শাহ। মোদী বলেছেন, ‘‘দেবভূমি প্রত্যাখ্যান করল কংগ্রেসের দুর্নীতি ও কুশাসনকে। বেছে নিল উন্নয়নকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy