বৃন্দাবনে হোলি উৎসবে বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী। ছবি: পিটিআই
পুলওয়ামা হামলা ছায়া ফেলল হোলিতেও।
পুলওয়ামায় নিহত জওয়ানদের সম্মান জানাতে এ বার হোলি উৎসব উদ্যাপন করবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল, কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। তবে আজ টুইটারে দেশবাসীকে হোলি এবং নওরোজের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা।
তবে দিল্লির নেতারা এ বার হোলি নিয়ে বিশেষ মাতামাতি না করলেও আসরে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে আরএসএস দফতরে হোলি উদ্যাপন করেন তিনি। পরে যোগ দেন গোরক্ষপুর মন্দিরের হোলি মিলন উৎসবে। মথুরায় হোলি উৎসবে যোগ দেন বিজেপি নেত্রী হেমা মালিনী।
রাজনীতিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হোলি মিলন ঘিরে কর্মী-সমর্থক ও মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর ঐতিহ্য বহুদিনের। লালকৃষ্ণ আডবাণী থেকে লালু প্রসাদ, এ পথে হেঁটেছেন অনেকেই। এ বার হোলির পরেই লোকসভা ভোট। উত্তরপ্রদেশ-সহ নানা রাজ্যে স্থানীয় স্তরে হোলিকে কেন্দ্র করে জনসংযোগের কাজ করছেন প্রার্থীরা। কিন্তু ভোটে অন্যতম বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলওয়ামা ও তার পরে পাকিস্তানের বালাকোটে অভিযান। সিআরপিএফ আগেই জানিয়েছিল, বাহিনী এ বার হোলি উদ্যাপন করবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে একই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজনাথ। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব ও আপ নেতা কেজরীবালও একই পথে হাঁটায় ‘রাজনৈতিক হোলি’র রং অনেকটাই শুকনো হয়ে গিয়েছে।
গোরক্ষপুরে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বৃহস্পতিবার। ছবি: পিটিআই
‘আবির গুলালের গন্ধে ভরা’ হোলির শুভদিনে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। তবে পুলওয়ামার হামলার কথা মাথায় রেখেই তিনি বা রাহুলও হোলি মিলনের মতো অনুষ্ঠানে যাননি। রাজনীতিকেরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, অতীতে অনেক সময়েই বিশেষ বিশেষ সঙ্কটের সময়ে হোলি না খেলারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজনীতিকেরা। কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ‘‘রাজনীতির রং আর হোলির রং মেলা প্রয়োজন। নইলে শুভেচ্ছাটুকুই জানানো ভাল।’’
সাইফাইতে হোলির উৎসবে সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ ও মুলায়ম সিংহ যাদব। ছবি পিটিআই
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy