—ফাইল চিত্র।
সামাজিক মাধ্যমে ক্রমশ সক্রিয়তা বাড়ানোর ইঙ্গিত। নিশানা মূলত তরুণেরা। যাদের সন্ত্রাসবাদী কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার’ (ওজিডব্লিউ) হিসেবে। অমরনাথ যাত্রার আগে জঙ্গিদের এই অতি-সক্রিয়তা দেখে উদ্বিগ্ন গোয়েন্দা কর্তারা। আশঙ্কা আগামী মাস থেকে শুরু হওয়া অমরনাথ যাত্রায় সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর লক্ষ্যেই পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর নির্দেশে এই তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
কাশ্মীরে জি-২০ বৈঠক চলাকালীন হামলার আশঙ্কা থাকলেও, নির্বিঘ্নে তা শেষ হয়েছে। পরবর্তী ধাপে সরকারের চ্যালেঞ্জ হল আগামী ৬২ দিন ধরে চলা অমরনাথ যাত্রা (১ জুলাই-৩১ অগস্ট) নিরাপদে শেষ করা। সম্ভাব্য বিপদের দিকগুলি খতিয়ে দেখতে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে বৈঠকে বসেন জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিন্হা, আধাসামরিক বাহিনীর প্রধান ও গোয়েন্দা কর্তারা। মূল বৈঠকের পরে অমিত শাহ-মনোজ সিন্হাদের সঙ্গে বৈঠকে এসে যোগ দেন র’প্রধান সামন্ত গয়াল। সূত্রের মতে, কাশ্মীরের পরিস্থিতি যে স্বাভাবিক নয় তা প্রমাণ করতে অমরনাথ দর্শনে যাওয়া যাত্রীদের উপরে জঙ্গি হামলা হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। জঙ্গিদের পিছন থেকে মদত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের বিরুদ্ধে।
সূত্রের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপের পিছনে মূলত দুই কাশ্মীরি জঙ্গি নেতার ভূমিকা এখন গোয়েন্দাদের আতসকাচের তলায়। যার মধ্যে এক জন হল পুঞ্চের রফিক নাই ও দ্বিতীয় জন হল ডোডা জেলার মহম্মদ আমিন ওরফে আবু খুবাইব। সূত্রের মতে, পাক-অধিকৃত কাশ্মীর থেকে উপত্যকায় সন্ত্রাসের কাজ চালিয়ে যাওয়া ওই দুই জঙ্গি নেতার উপরে অমরনাথ যাত্রায় হামলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যপূরণে সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করে তরুণদের নিয়োগের প্রক্রিয়া বেড়ে গিয়েছে। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা ওই তরুণদের মূলত অমরনাথ হামলার কথা ভেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। সূত্রের মতে, ওই তরুণদের উপরে বিশেষ ভাবে নজর রাখার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া যাত্রীদের অবস্থান জানার জন্য গত বারের মতো প্রত্যেক যাত্রীকে আরএফ আইডি কার্ড দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মেডিক্যাল শিবির এবং তাতে চিকিৎসা কর্মী ও অক্সিজেন সিলিন্ডার যাতে থাকে, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy