নদী থেকে কিশোরীর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এক যুবকরে সঙ্গে মেয়েকে কথা বলতে দেখে মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলেন হোমগার্ড। অভিযোগ, রাগের বশে মেয়েকে গলা টিপে খুন করার পর দেহ লোপাটের জন্য নদীতে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। সেই ঘটনার এক সপ্তাহ পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের বাগপতের।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাগপতের পাঁচি গ্রামে এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই ঘটনা নজরে পড়ে হোমগার্ড প্রমোদের। ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় বছর ষোলোর ওই কিশোরী। তাঁকে কয়েক দিন ধরে দেখতে না পেয়ে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের। প্রমোদকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি বার বারই বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছিলেন বলে দাবি এক গ্রামবাসীর। এর পরই তাঁরা পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ প্রমোদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু নানা ভাবে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন প্রমোদ। একটু চাপ দিতেই আসল ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক। জেরায় পুলিশকে প্রমোদ জানিয়েছেন, মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন। তার পর তার দেহ হিডন নদীতে ফেলে দিয়ে এসেছেন। এর পরই প্রমোদকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দেহ খোঁজার জন্য নদীতে ডুবুরি নামানো হয়। যেখানে দেহ ফেলেছিলেন, সেই জায়গা থেকে কিছুটা দূরেই কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার পরই প্রমোদকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রমোদ এক নন, এই কাজে সাহায্য করেছেন তাঁর ভাই মোহিত। তাঁকে খুঁজছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy