অগ্নিদগ্ধ বাজার। মঙ্গলবার লালায় অসিত দাসের তোলা ছবি।
ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে লালা শহরে পুড়ে ছাই হয়ে গেল আটটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন ছয় ব্যক্তি।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, বছর খানেক আগে লালা থেকে দমকলের কেন্দ্রটি উঠিয়ে নেওয়ার ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বিলম্ব হয়েছে। এর ফলেই পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেয়। আজ ভোর রাতে লালা শহরের চৌরঙ্গি এলাকার ব্যবসায়ীক এলাকায় আগুন প্রথম নজরে আসে এক ব্যক্তির। তিনি চিৎকার চেঁচামেচি আরম্ভ করলে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকেন। খবর যায় দমকলে। কিন্তু দমকল আসতে দেরি করায় আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
এ দিকে, আগুনের মধ্যে আটকে পড়েন দোকানের ভিতরে থাকা কয়েকজন। তাদের উদ্ধারে তৎপর হন স্থানীয় মানুষই। তাঁদের কয়েকজনকে ছাদ দিয়ে নামিয়ে আনা হয়। জখমদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছেন। চার জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো
হয়েছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন সুমা পাল, জেতমল রাংকা, কমলচাঁদ রাংকা, অভি পাল, প্রতিমা পাল এবং বসু পাল।
অগ্নিকান্ডের পর লালার মানুষ প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হন। তাঁদের একটিই দাবি, লালায় দমকলের কার্যালয় স্থাপন করতে হবে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বহু মানুষ সেখানে ভিড় করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, প্রায় এক বছর আগে লালার দমকল কেন্দ্রটি গাড়ি এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। যদি দমকলের সেই গাড়ি লালা শহরে থাকত তাহলে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হত। ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী চিন্ময়নাথ মজুমদারের বক্তব্য, লালা পুরসভার টাকায় কেনা দমকলের গাড়ি জেলা সদরে থাকছে। তাঁর মতে, লালা শহরে বিভিন্ন সময় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলেও এখানে দমকলের কোনও গাড়িই নেই। সদর থেকে দমকল আসতে অনেক দেরি হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মোট আটটি প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার হাইলাকান্দির জেলাশাসক মলয় বরা প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। জেলাশাসককে কাছে পেয়ে লালার মানুষ এই শহর থেকে দমকল তুলে নেওয়ার বিষয়টি তার নজরে আনেন। খুব শীঘ্রই লালা শহরে দমকলের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy