তাঁর বিরুদ্ধে ম্যানেজমেন্ট কলেজের ছাত্রীদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন দিল্লির স্বঘোষিত ‘বাবা’ স্বামী চৈতন্যানন্দ। রবিবার ভোরে তাঁকে উত্তরপ্রদেশের আগরার একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ‘বাবা’র বিরুদ্ধে লুকআউট সার্কুলারও জারি করা হয়েছিল। ৫০ দিন পালিয়ে বেড়ানোর পর অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েন চৈতন্যানন্দ।
কী ভাবে ‘বাবা’র হদিস পেল পুলিশ?
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সিসিটিভি ক্যামেরা নেই এমন সস্তার হোটেলিগুলিতে আশ্রয় নিচ্ছিলেন ‘বাবা’। তবে এক হোটেলে বেশি দিন থাকতেন না। দু’তিন দিন থাকার পরই অন্য হোটেলে চলে যেতেন। আর এই ধরনের হোটেলগুলির সন্ধান দিতেন এবং ‘বাবা’র থাকার সমস্ত বন্দোবস্ত করতেন তাঁর শাগরেদরাই। পুলিশ সূত্রে খবর, ৫০ দিনে ১৫টি হোটেল বদলে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন ‘বাবা’। রবিবার তাঁকে যে হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটিও একটি সস্তার হোটেল।
আরও পড়ুন:
সূত্রের খবর, গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন ‘বাবা’। তদন্তকারীদের কোনও রকম সহযোগিতা করছেন না ওই সূত্রের দাবি। শুধু তা-ই নয়, কোনও প্রশ্নের সঠিক জবাবও দিচ্ছেন না। ওই সূত্রটি জানিয়েছে, চৈতন্যানন্দ তদন্তকারীদের কাছে দাবি করেছেন, তিনি ‘অত্যন্ত বিচলিত’। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেছেন ‘বাবা’। তদন্তকারীদের কাছে ‘বাবা’ দাবি করেছেন, তাঁর সমস্ত ফোন এবং ডিজিটাল ডিভাইসের পাসওয়ার্ড ভুলে গিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তাঁর তিনটি আইফোন এবং একটি আইপ্যাড ফরেন্সিক ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দিল্লির একটি বেসরকারি ম্যানেজমেন্ট কলেজে ছাত্রীদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে চৈতন্যানন্দের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ‘বাবা’ ওই কলেজেরই কলেজেরই অধিকর্তা। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হুলস্থুল পড়ে যায়। তার পর থেকেই ‘বাবা’র খোঁজে দিল্লি ছাড়াও বিহার, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং উত্তরাখণ্ডে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। অবশেষে আগরার একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।