উত্তরাখণ্ডের আলমোরায় একটি সরকারি স্কুলের কাছে ঝোপ থেকে ১৬১টি জিলেটিন স্টিক উদ্ধারে আতঙ্ক ছড়াল। দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই উত্তরাখণ্ডে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার ঘিরে রহস্য বাড়ছে। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি বড়সড় নাশকতার কোনও পরিকল্পনা করা হচ্ছিল?
পুলিশ সূত্রে খবর, আলমোরার সাল্ট এলাকার একটি সরকারি স্কুলের কাছে ঝোপের মধ্যে একটি বস্তা থেকে ওই জিলেটিন স্টিকগুলি উদ্ধার হয়েছে। যার মোট ওজন ২০ কেজি। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্কুলের পড়ুয়ারাই প্রথমে ঝোপের মধ্যে একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানায়। স্কুল থেকে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ডাকা হয় বম্ব স্কোয়াডও। স্কুলের প্রিন্সিপাল সুভাষ সিংহ জানিয়েছেন, ঝোপের মধ্যে সন্দেহজনক কিছু পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছিল।
খবর পেয়েই পুলিশের দু’টি দল ঘটনাস্থলে আসে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। বম্ব এবং ডগ স্কোয়াডও ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ সূত্রে খবর, বস্তার ভিতর থেকে ১৬১টি জিলেটিন স্টিক উদ্ধার হয়েছে। কিছু ঝোপের মধ্যে পড়েছিল। কয়েকটি জিলেটিন স্টিক আবার ওই ঝোপ থেকে ২০ ফুট দূরে উদ্ধার হয়। এসএসপি দেবেন্দ্র পিঞ্চা বলেন, ‘‘ডাবরা গ্রামে একটি সরকারি স্কুলের কাছ থেকে জিলেটিন স্টিক উদ্ধার হয়েছে। কোথা থেকে এই বিস্ফোরক এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিস্ফোরকগুলি কোনও নাশকতার উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হয়েছিল কি না, সেই সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হবে।’’ পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সাধারণত পাথর খাদানে এই ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার হয়। কিন্তু এত বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক এ ভাবে লোকলয়ের মধ্যে কী ভাবে এল, তা নিয়ে সন্দেহ বাড়ছে পুলিশ মহলেও।
প্রসঙ্গত, গত ৯ নভেম্বর হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। তার পর দিনই অর্থাৎ ১০ নভেম্বর দিল্লিতে লালাকেল্লা মেট্রোর সামনে গাড়িবোমা বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাচক্রে, যে বিস্ফোরণের সূত্র জড়িয়ে ফরিদাবাদে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকের সঙ্গে। এই ঘটনায় আল ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েক জন চিকিৎসকও গ্রেফতার হয়েছেন। ফলে দিল্লির ঘটনার পর উত্তরাখণ্ডে এই বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধারে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।