ফাইল ছবি
তর তর করে এগিয়ে চলেছে রাম মন্দির তৈরির কাজ। তার পরেই সেখানে পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের ভিড় লেগে গেলে জমির দাম আকাশছোঁয়া হবে, এই আশা করে সেখানে জমি কেনার হিড়িক পড়েছে। সেই কাজে এগিয়ে অযোধ্যার এক দল প্রশাসনিক কর্তা থেকে মেয়র, বিধায়কের আত্মীয় স্বজনেরা। একটি সর্ব ভারতীয় সংবাদপত্র বুধবার তদন্ত-প্রতিবেদনে এই খবর ফাঁস করেছে। বুধবার রাজ্যসভায় এই বিষয়টি তুলতে চেয়েছিলেন কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়্গে। কিন্তু তার আগেই অধিবেশন শেষ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন এই সাংসদ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জমি কেনাবেচার এই তৎপরতার সূত্রপাত হয়েছে অনেক আগেই। কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বিরুদ্ধে এলাকার গরিব ও দলিত মানুষের জমি জোর করে বা লোভ দেখিয়ে বেআইনি ভাবে দখল করার অভিযোগও উঠেছে। সেই সব সংগঠনই এখন বেশি দামে জমি বিক্রি করছে, আর প্রশাসনিক কর্তারা সেই জমি পাওয়ায় এগিয়ে।
তদন্তে প্রকাশ, মহেশ যোগীর প্রতিষ্ঠিত মহাঋষি রামায়ণ বিদ্যাপীঠ ট্রাস্ট নামে একটি সংস্থা সাম্প্রতিক জমি কেনাবেচার মধ্যমণি। যেখানে রাম মন্দিরের গড়ে উঠছে, সেই জায়গা থেকে পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে কয়েকটি দলিত গ্রামে তারা জলের দরে জমি সংগ্রহ শুরু করেছে ১৯৯০ থেকে। এর মধ্যে ২১ বিঘা জমি তারা দলিতদের ঠকিয়ে আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উত্তরপ্রদেশের আইন অনুসারে দলিতদের নামে নথিভুক্ত সেই জমি বর্ণহিন্দুদের নামে স্থানান্তর করা যায় না। কিন্তু সে সবের তোয়াক্কা না করেই মোটা টাকায় জমির হাত বদল হচ্ছে বলে উঠে এসেছে তদন্ত প্রতিবেদনে।
স্থানীয় বিধায়ক এবং প্রশাসনের এক ঝাঁক ঊর্ধ্বতন আমলার আত্মীয়স্বজন মোটা টাকায় এই সব জমি কিনেছেন বলে দাবি। তবে এঁদের সবারই বক্তব্য, কোন আত্মীয় কী করছেন, তা তাঁদের অজানা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy