সৈয়দ গিলানি
সরকারি ভাবে তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে ঘোষণা করা হয়নি। তাই আদালতে কাশ্মীরের হুরিয়ত নেতাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী বলা নিয়ে আপত্তি তুলল সুপ্রিম কোর্ট।
আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর পথ খুলতে সর্বদলীয় প্রতিনিধিমণ্ডলের সদস্যরা সম্প্রতি শ্রীনগরে হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু দরজা খোলেননি গিলানি। এম এল শর্মা নামে এক আইনজীবী এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। অবিলম্বে ওই সব হুরিয়ত তথা ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ নেতার নিরাপত্তা, চিকিৎসা ইত্যাদি খাতে সরকারি অর্থ খরচ বন্ধ করার আর্জি জানান তিনি। আর্জিটি আজ খারিজ করে দিলেও শুনানির সময় দীপক মিশ্র এবং ইউ ইউ ললিতের বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, হুরিয়তকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলার কারণ কী?
আদালতে পেশ করা আর্জিতে এম এল শর্মার বক্তব্য ছিল, সরকার এই সব ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ নেতার নিরাপত্তা, বিদেশ ভ্রমণ, চিকিৎসার মতো খাতে বছরে ১০০ কোটি টাকা খরচ করে। অথচ ওই নেতারা সেই টাকা ভারত-বিরোধী কাজে ব্যবহার করেন। তাই অবিলম্বে ওই ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ নেতাদের সুবিধে দেওয়া বন্ধ করার নির্দেশ দিক শীর্ষ আদালত। এই সূত্রেই অভিযোগকারী আইনজীবীর কাছে বেঞ্চ জানতে চায়, ‘‘হুরিয়ত নেতাদের কেন বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে ডাকা হচ্ছে। সরকার কি তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে ঘোষণা করেছে?’’ আদালতের পর্যবেক্ষণটি এই রকম, এটা আসলে একটা প্রচলিত ধারণা। এক জনের আচরণ অন্যদের অপছন্দ হতেই পারে। তাই তাঁরা তাঁকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে ডাকতেই পারেন। কিন্তু অপছন্দের ব্যক্তি বলেই তাঁর সম্পর্কে আদালতে কেউ ওই শব্দ ব্যবহার করতে পারেন না। একই সঙ্গে মামলার মূল মামলাটি খারিজ করে দেওয়ার যুক্তি হিসেবে আদালত জানিয়েছে, বিষয়টি তাদের এক্তিয়ারের বাইরে। জম্মু-কাশ্মীরের মতো সংবেদনশীল রাজ্যে প্রশাসন কাকে নিরাপত্তা দেবে সেই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের এক্তিয়ারভুক্ত। এ ক্ষেত্রে আদালতের কিছু করার নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy