ভাল বেতনের চাকরির প্রস্তাব পেয়ে রাশিয়ায় পাড়ি দিয়েছিলেন তেলঙ্গানার হায়দরাবাদের যুবক। কিন্তু সেই যুবককেই এখন রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বন্দুক ধরতে হয়েছে। নামতে হয়েছে যুদ্ধক্ষেত্রে। অভিযোগ, তাঁকে জোর করে পাঠানো হয়েছে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে।
জানা গিয়েছে, যুবকের নাম মহম্মদ আহমেদ। এক এজেন্টের মাধ্যমে রাশিয়ায় চাকরির জন্য পাড়ি দিয়েছিলেন। আহমেদের এক আত্মীয় ফিরদৌস বেগম এক সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, ‘‘আহমেদের হাতে বন্দুক ধরিয়ে দিয়ে বলা হয়েছে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। তাঁর শেষ অবস্থান জানা গিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তের কাছে। সরকারের কাছে আবেদন আমাদের ছেলেকে উদ্ধার করুন। ওকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুন।’’
পরিবার সূত্রে খবর, হায়দরাবাদের একটি রেস্তরাঁয় বাউন্সারের কাজ করতেন আহমেদ। মুম্বইয়ের এক এজেন্টের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। তিনিই আহমেদকে ভাল বেতনের চাকরির টোপ দেন রাশিয়ায়। একটি নির্মাণ সংস্থায় কাজের প্রস্তাব দেওয়া হয় আহমেদকে। গত ২৫ এপ্রিল রাশিয়ায় পাড়ি দেয় আহমেদ। তার পর থেকে আর কোনও খোঁজখবর পাওয়া যায়নি।’’
আরও পড়ুন:
ওই আত্মীয় আরও দাবি করেছেন, সেনার একটি গাড়ি করে ইউক্রেন সীমান্তে নিয়ে যাওয়ার সময় আহমেদ গাড়ি থেকে লাফ মেরে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু পড়ে গিয়ে পায়ে চোট পান। তার পর তাঁকে জোর করে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় যুদ্ধক্ষেত্রে। কয়েক দিন আগে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আহমেদ গোটা ঘটনাটি জানিয়েছেন। আহমেদের স্ত্রী বলেন, ‘‘আমার স্বামী এবং আরও ৩০ জনকে একটি প্রত্যন্ত এলাকায় নিয়ে গিয়ে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ছ’জন ভারতীয়ও রয়েছেন।’’
এই প্রথম নয়, দেশের কয়েকটি রাজ্য থেকে রাশিয়ায় চাকরির টোপ দিয়ে নিয়ে গিয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে নামানোর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। উত্তরপ্রদেশ থেকে ১৩ জনকে এ ভাবে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছিল। সম্প্রতি গুজরাতের এক যুবকের হদিস মিলেছে ইউক্রেন সীমান্তে। তাঁর পরিবারের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে, জোর করে যুদ্ধে পাঠানো হয়েছে ওই যুবককে।