বার বারই দাবি করেছেন, তিনি নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তদন্তকারীদের জেরার মুখে ভেঙে পড়েছিলেন সোনা পাচারে অভিযুক্ত কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাও। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি খুব ক্লান্ত। শুক্রবার অভিনেত্রীকে বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, সেখানেও কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত রান্যাকে তিন দিনের জন্য ডায়রেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)-এর হেফাজতে পাঠিয়েছে। আদালতের কাছে ডিআরআই আবেদন করেছিল, অভিনেত্রীকে তারা নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জানতে চায় যে, এই ঘটনার নেপথ্যে কোনও বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না। তা ছাড়া অভিনেত্রীকে জেরা করে এই চক্রের শিকড়ে পৌঁছোনোরও একটা চেষ্টা করতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
ডিআরআই-এর তদন্ত বলছে, তারা মনে করছে, ভিআইপি হওয়ার সুযোগ নিয়ে অনেকে এ ভাবেই বেআইনি কাজ করছেন। এ ক্ষেত্রে নিয়মের অপব্যবহার করা হয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের। শুক্রবার আদালতে অভিনেত্রীকে পেশ করা হলে তাঁর চোখের নীচে কালো দাগ ধরা পড়েছে। আর তা নিয়েই প্রশ্ন ঘুরতে শুরু করেছে, তা হলে কি হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর উপর অত্যাচার করা হয়েছে? যদিও সূত্রের খবর, রান্যা রাও তাঁর বয়ানে দাবি করেছেন, তাঁর উপর কোনও চাপ সৃষ্টি করা হয়নি। তিনি নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। জেলে তাঁকে খেতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু খাবার খাননি। বরং তিনি নাকি জানিয়েছেন, একের পর এক দেশ ঘুরে তিনি ক্লান্ত।
সূত্রের খবর, আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। তাঁর আইনজীবীকে জানান, খুব আতঙ্কে আছেন তিনি। ঠিকমতো ঘুমোতে পারছেন না। পাশাপাশি এটাও বলেন, ‘‘কী ভাবে এই চক্রে ফেঁসে গেলাম, ভেবে পাচ্ছি না। আমি ঘুমোতে পারছি না। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত।’’ ১০ মার্চ পর্যন্ত অভিনেত্রীকে ডিআরআই-এর হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত ৩ মার্চ বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে ১৪ কেজি সোনার বার-সহ গ্রেফতার হন কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা। যার আন্তর্জাতিক বাজারদর প্রায় ১৩ কোটি টাকা।