দাবিমতো টাকা না পেলে ফাঁসানোর হুমকি দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীকে। কয়েক বার প্রস্তাব ফেরানোর পরেও আইএএস অফিসারকে আর চটাতে চাননি ব্যবসায়ী। বছর ত্রিশের আমলার দাবি ছিল ২০ লক্ষ টাকা। সেই টাকার অর্ধেক মিটিয়ে দিতে তাঁর সরকারি আবাসনে গিয়েছিলেন ব্যবসায়ী। ঠিক তখনই ধরা পড়লেন ২০২১ ব্যাচের আইএএস অফিসার ধীমান চকমা। ঘুষ নেওয়ার সময় তাঁকে ধরল ওড়িশা ভিজ়িল্যান্স ডিপার্টমেন্ট। বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হল বিপুল অঙ্কের টাকা!
অভিযোগ, ওড়িশার কালাহান্ডির অতিরিক্ত জেলাশাসক ধীমান এক স্থানীয় ব্যবসায়ীর কাছে ২০ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন। ওই ব্যবসায়ীর দাবি, টাকা না পেলে তাঁকে নানা ভাবে হেনস্থার হুমকি দেন আইএএস অফিসার। বাধ্য হয়েই তিনি জানিয়েছিলেন, দু’দফায় টাকাটা দেবেন। ‘রফা’ হয়। সেই অনুযায়ী রবিবার ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে আইএএস অফিসারের সরকারি আবাসনে গিয়েছিলেন ব্যবসায়ী।
আইএএস অফিসারের হাতে বান্ডিল বান্ডিল টাকা তুলে দেওয়ার খানিক পরেই সেখানে উপস্থিত হন ভিজ়িল্যান্স অফিসারেরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঘুষ-সহ হাতেনাতে তাঁরা ধরে ফেলেন ওই আইএএস অফিসারকে। জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ীর কাছে ঘুষ নিয়ে টাকাটা বৈঠকখানার টেবিলের একটি ড্রয়ারে রেখেছিলেন তিনি। সমস্ত টাকাই উদ্ধার হয়েছে।
ভিজ়িল্যান্স ডিপার্টমেন্টের তরফে জানানো হয়েছে, আইএএস অফিসারের বয়স ৩০-এর আশপাশে। বছর চারেক আগে তিনি কর্মজীবন শুরু করেছেন। রবিবার তাঁর আবাসনে যখন আধিকারিকেরা যান, তখন ১০০ টাকার নোটের বান্ডিলে মোট ১০ লক্ষ টাকা গোনা হয়ে গিয়েছে ধীমানের। এবং টাকাগুলো তিনি ড্রয়ারে গচ্ছিত রেখছিলেন। ওই টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি ধীমানের কোয়ার্টারে তল্লাশি চালানো হয়। তাতে নগদ আরও ৪৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। ওই সমস্ত অর্থের উৎস জানতে চাইলে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি আইএএস অফিসার। দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৮৮ অনুযায়ী ধীমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।