প্রবল বৃষ্টিতে যমুনার জলস্তর ইতিমধ্যেই বিপদসীমা পার করেছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মত উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল আজ জানিয়েছেন, দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত বন্যার সম্ভাবনা নেই। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য দাবি করেছেন, বন্যার পরিস্থিতি এলেও প্রশাসন প্রস্তুত। নিচু এলাকা থেকে মানুষজনকে অনত্র সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই নিয়ে রেখেছে দিল্লি সরকার।
আজ দুপুর একটা নাগাদ যমুনার জলস্তর ২০৪.৬৩ মিটারে পৌঁছে যায়। যমুনায় জলস্তর ২০৪.৫০ হলেই বিপদসীমায় পৌঁছেছে বলে ধরা হয়। কেজরীওয়ালের কথায়, ‘‘অভূতপূর্ব বৃষ্টিপাতের ফলেই দিল্লির নাগরিকেরা সমস্যায় পড়েছেন। প্রতি বছরেই প্রবল বৃষ্টি হলে দিল্লির বেশ কিছু নিচু এলাকায় জল জমে যায়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা নেমেও যায়। কিন্তু এবার ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত অভূতপূর্ব, গত চল্লিশ বছরে এমনটা ঘটেনি।’’ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যমুনার জলস্তর বেড়ে যাওয়ার বিষয় নিয়ে তিনি সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের পরামর্শ নিচ্ছেন। তবে সেখানকার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দিল্লিতে এবার বন্যা পরিস্থিতি আসবে না।
তবে বৃষ্টিপাতের কারণে মানুষের দুর্ভোগের মধ্যে কারও দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা উচিত নয় বলেই মনে করছেন কেজরীওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে সব রাজ্যগুলিতে বৃষ্টিপাতের প্রভাব পড়েছে, তাদের সকলেরই উচিত একজোট হয়ে কাজ করা।’’ হরিয়ানা সরকার যমুনার হাথনিকুন্দ বাঁধ থেকে প্রায় ১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার পর গত রবিবার দিল্লি সরকার বন্যার সতর্কতা জারি করেছিল।
আজ দুপুর একটা নাগাদ ওই বাঁধ থেকে প্রায় এক লক্ষ ৯০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। কেজরীওয়াল বলেছেন, হাথনিকুন্দ বাঁধ থেকে জল ছাড়ার পর ১৯৭১ সালে বন্যা হয়েছিল দিল্লিতে। তারপর থেকে বন্যা আটকাতে অনেক পদক্ষেপ করা হয়েছে। ২০১৩ সালে হরিয়ানা থেকে আট লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হলেও দিল্লিতে বন্যা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)