ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই তাঁর ভিসা নীতি স্পষ্ট করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার নাগরিকদের কাজের সুযোগ দেওয়ার বদলে বিদেশ থেকে পেশাদার তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী আনার ক্ষেত্রে তাঁর যে আপত্তি রয়েছে, তা বরাবরই জোর গলায় বলে এসেছেন তিনি। ২০১৬-র নির্বাচনে জয় লাভ করে ২০১৭-র গোড়ায় সরকারি ভাবে প্রেসিডেন্টের গদিতে বসেন ট্রাম্প। আর এই এক বছরে এইচ-১বি ভিসা অনুমোদন এক ধাক্কায় কমে গিয়েছে দশ শতাংশ। সম্প্রতি এই পরিসংখ্যান সামনে এনেছে মার্কিন প্রশাসন।
তবে মাসখানেক আগেই জামাই ও উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনারকে সঙ্গে নিয়ে অভিবাসন নীতি সংস্কারের কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন, এ বার থেকে যোগ্যতা এবং দক্ষতার উপরেই জোর দেওয়া হবে। এত দিন পর্যন্ত বিদেশি নাগরিকদের আমেরিকায় থাকার অনুমোদন পেতে পারিবারিক সংযোগের দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হত। তবে সে নিয়ম পাল্টে যোগ্যতা ও দক্ষতায় জোর দেওয়ায় আশা জেগেছিল অসংখ্য প্রবাসী ভারতীয় কর্মীর মনে। অনেকেই মনে করছিলেন, এ বার মার্কিন নাগরিকত্ব পেতে সুবিধা হবে ভারতীয়দের।
আমেরিকার সিটিজ়েনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) দফতর জানিয়েছে, ২০১৮ সালে মোট ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার এইচ-১বি ভিসার আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে নতুন আর পুরনো দুই আবেদনকারীই রয়েছেন। ২০১৭ সালে এই সংখ্যাটাই ছিল ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ৪০০। অর্থাৎ ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার ঠিক এক বছরের মাথাতেই এইচ-১বি ভিসা অনুমোদনের হার হ্রাস পেয়েছে ১০ শতাংশ। ট্রাম্পের কড়া অভিবাসন নীতিকেই এর জন্য মূলত দায়ী করে করেছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞেরা। বছর দুই আগে একটি প্রশাসনিক নির্দেশে সই করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। উদ্দেশ্য, মার্কিন নাগরিকদের বেশি বেতনের চাকরিতে সুযোগ দেওয়া এবং তাঁদের অর্থনীতি চাঙ্গা করা। এরই মধ্যে এইচ-১বি ভিসায় কাজ করতে আসা অন্তত ৬০০ কর্মীকে বকেয়া বেতন হিসেবে প্রায় ১১ লক্ষ ডলার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে একটি মার্কিন সংস্থা। যাঁরা সেই বেতন পাবেন, তাঁদের একটা বড় অংশ ভারতীয়। মিশিগানের ওই সংস্থা জানিয়েছে, বিভিন্ন ছুটিতেও ওই কর্মীরা কাজ করেছিলেন। কিন্তু এত দিন তাঁদের পাওনা মেটানো হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy