Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

দিল্লিতে দুরন্ত এক্সপ্রেসে লুট

এ বার খোদ দিল্লিতে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের শিকার হলেন দুরন্ত এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। আজ ভোরে রাজধানীতে হওয়া ওই লুটের ঘটনা ফের প্রশ্ন তুলেছে রেলের যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে। ওই ঘটনায় রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি রেল পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৩১
Share: Save:

এ বার খোদ দিল্লিতে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের শিকার হলেন দুরন্ত এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। আজ ভোরে রাজধানীতে হওয়া ওই লুটের ঘটনা ফের প্রশ্ন তুলেছে রেলের যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে। ওই ঘটনায় রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি রেল পুলিশ। খোদ দিল্লির বুকে এই ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে গোটা রেল মন্ত্রক। রেলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, দুষ্কৃতীদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেফতার করার উদ্দেশ্যে একাধিক দল গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

আজ ভোরে আক্রান্ত হয় জম্মু-টাটানগর এক্সপ্রেস। উত্তরপ্রদেশের বদলি স্টেশনে ওই ট্রেনের একটি কামরায় লুটপাট চালানো হয়। সেখানে রেল পুলিশের দেখা মেলেনি বলে অভিযোগ। পুলিশের ধারণা, কুম্ভ থেকে যে যাত্রীরা ফিরছিলেন তাঁদেরই নিশানা করেছিল দুষ্কৃতীরা। এর পরে আক্রান্ত হয় জম্মু থেকে দিল্লিগামী দুরন্ত এক্সপ্রেস। ওই ট্রেনের শেষ স্টেশন ছিল দিল্লির সরাই রোহিলা। আজ সকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ ট্রেনটি সরাই রোহিলা স্টেশনে ঢোকার ঠিক মুখে সিগন্যালে দাঁড়িয়ে যায়। অভিযোগ, ট্রেন দাঁড়াতেই এক দল দুষ্কৃতী বাতানুকূল দ্বিতীয় শ্রেণির বি-৩ ও বি-৭ কামরায় উঠে লুটপাট শুরু করে। অশ্বিনী কুমার নামে এক যাত্রী পরে রেলের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন, ট্রেন দাঁড়াতেই পাঁচ-সাত জন দুষ্কৃতী কামরায় উঠে পড়ে। হাতে থাকা ছুরি ও ভোজালি দেখিয়ে তারা যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, পার্স, সোনার চেন ও মোবাইল লুঠ করে। যাত্রীদের অভিযোগ, প্রায় দশ থেকে পনেরো মিনিট ধরে লুটপাটের সময়ে রেল পুলিশ-সহ ট্রেনের কোনও কর্মীকেই দেখতে পাওয়া যায়নি।

অভিযোগ উঠেছে, যাত্রী পরিষেবার নামে ঘটা করে রেল একাধিক নম্বর, টুইটার অ্যাকাউন্ট চালু করলেও আজ কার্যক্ষেত্রে একটিও কাজ করেনি। রেল পুলিশের সহায়তা নম্বর বা দিল্লি পুলিশের ১০০ নম্বরে ফোন করে কোনও সাহায্য পাননি যাত্রীরা। অশ্বিনীর অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা ছিনতাই করে নেমে যাওয়ার প্রায় কুড়ি মিনিট পরে অন্য কামরায় ঘুমন্ত অ্যাডেনডেন্টের খোঁজ পাওয়া যায়। ট্রেনটি সরাই রোহিলা স্টেশনে পৌঁছনো পর্যন্ত টিকিট চেকারের কোনও হদিশ পাননি যাত্রীরা। দেখা মেলেনি কোনও রেল পুলিশেরও। ট্রেনটি স্টেশনে ঢুকলে স্টেশন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেন যাত্রীরা। প্রশ্ন উঠেছে, রাজধানী-দুরন্তের মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনে পরিবর্তনশীল ভাড়ার খাতে বাড়তি অর্থ নিয়ে থাকে রেল। কিন্তু যাত্রীদের যে নিরাপত্তা নেই তা আজ ফের বোঝা গেল।

দিল্লিতে ঢোকার মুখে প্রায়শই এই ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে থাকে। মাঝে এই ধরনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় দিল্লিগামী ট্রেনগুলিতে রেল পুলিশের জওয়ান মোতায়েন করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এ দিনের ঘটনা ফের এক বার রেলের নিরাপত্তার দিকটি বেআব্রু করে দিল। উত্তর রেলওয়ের মুখপাত্র দীপক কুমার জানিয়েছেন, ‘‘রেল পুলিশ দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার প্রশ্নে কিছু প্রাথমিক সূত্র পেয়েছে। আশা করছি দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Duronto Express Delhi Loot Robbery Dacoits
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE