Advertisement
২০ মে ২০২৪
Gujarat Bridge Collapse

সেতুর কেব্‌ল না বদলে রং করেই দায় সারে সংস্থা, মোরবী নিয়ে কোর্টে গাফিলতির তালিকা পুলিশের

ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন, সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ‘ওরেভা’ সংস্থার দু’জন ম্যানেজার, দু’জন শ্রমিক, তিন জন নিরাপত্তাকর্মী এবং দু’জন টিকিট বিক্রেতাকে।

মোরবীর ভেঙে পড়া সেতু।

মোরবীর ভেঙে পড়া সেতু।

সংবাদ সংস্থা
গান্ধীনগর শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২২ ২১:৩৯
Share: Save:

গুজরাতের মোরবীতে ঝুলন্ত ভেঙে বিপর্যয়ের ঘটনায় যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে গুজরাত সরকারকে। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন, সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ‘ওরেভা’ সংস্থার দু’জন ম্যানেজার, দু’জন শ্রমিক, তিন জন নিরাপত্তাকর্মী এবং দু’জন টিকিট বিক্রেতাকে। বুধবার তাঁদের আদালতে হাজির করিয়ে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। পাশাপাশিই, পায়ে হাঁটা সেতুর সারাইয়ের কাজে বেশ কিছু গাফিলতির অভিযোগও তোলা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

সূত্রের খবর, সেতু মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি আদালতে জমা করা হয়েছে। অভিযোগ, সারাইয়ের যে সব সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে, তা নিম্নমানের। ঝুলন্ত সেতুর বেশ কিছু কেব্‌লও পুরনো হয়ে গিয়েছিল। মূলত সেই কেব্‌লগুলি ছিঁড়ে যাওয়ারই পরিণাম এই মৃত্যুমিছিল। শুধু তা-ই নয়, মেরামতির কাজের জন্য যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁরাও ওই কাজের জন্য উপযুক্ত নন বলে অভিযোগ। দাবি, কেব্‌ল বদলানোর পরিবর্তে তাতে রং করেই কাজ সেরেছিলেন ওই ঠিকাদার কর্মীরা।

মোরবী পুরসভা সূত্রে আগেই জানা গিয়েছে, মোরবীর শতাব্দী প্রাচীন ওই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে জয়সুখজি উদ্ধবজি পটেলের মালিকানাধীন ওরেভা গ্রুপ। সেতু সারাইয়ের কাজ নিয়ে ওই গোষ্ঠীর অন্তর্গত সংস্থা অজন্তা ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে পুরসভার চুক্তি হয়। সারাইয়ের জন্য গত মার্চ মাস থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় সেতুটি। স্থির হয়, অন্তত আট থেকে ১২ মাস সেতুটি বন্ধ রাখা হবে। তার পরেও কেন সাত মাসের মাথায় জনসাধারণের জন্য সেটি খুলে দেওয়া হল, তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আরও প্রশ্ন উঠছে, মেরামতির কাজ শেষ হয়েছে না হয়নি, তা ভাল করে খতিয়ে না দেখে পুরসভার ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ ছাড়াই কেন সেতুটি গত ২৬ অক্টোবর খুলে দেওয়া হল? গুজরাতে সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। বিরোধীরাও প্রশ্ন তুলছে, ভোটের দিকে নজর রেখেই কি তাড়াহুড়ো করে সেতুটি খুলে দেওয়া হয়েছিল? পুরসভা সূত্রেই খবর, মেরেকেটে ১২৫ জনের ভার বহনের ক্ষমতা ছিল গুজরাতের মোরবীর ঝুলন্ত সেতুটির। তা সত্ত্বেও কেন ৪৫০-৫০০ জন মানুষ ওই পায়ে হাঁটার সেতুতে উঠে পড়েছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয়দের দাবি, টিকিট বিক্রি করা হলেও, ভিড় নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থাই করেনি স্থানীয় প্রশাসন কিংবা সারাইয়ের দায়িত্বে থাকা ওই বেসরকারি সংস্থাটি। সূত্রে খবর, এই সমস্ত প্রশ্নই আদালত বুধবারের শুনানিতে উঠেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Gujarat Bridge Collapse
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE