Advertisement
E-Paper

পাকিস্তানকে ১০০ কোটি ডলারের বাড়তি ঋণ মঞ্জুর করল আইএমএফ, বোর্ডে ভোটদানে বিরত রইল ভারত

শুক্রবার ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসেছিল আইএমএফের ঋণ সংক্রান্ত বোর্ড। সেখানেই ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, আইএমএফের ঋণ পাওয়ার যে শর্ত থাকে, তা মানতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৫ ২৩:৩৭
পাকিস্তানকে প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার অতিরিক্ত ঋণ মঞ্জুর করল আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার (আইএমএফ)।

পাকিস্তানকে প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার অতিরিক্ত ঋণ মঞ্জুর করল আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার (আইএমএফ)। ছবি: রয়টার্স।

পাকিস্তানকে প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার অতিরিক্ত ঋণ মঞ্জুর করল আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার (আইএমএফ)। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় আট হাজার কোটি টাকা। ভারত আইএমএফের ঋণ সংক্রান্ত বোর্ডের বৈঠকে ভোটদানে বিরত থাকল। তারা জানাল, এর আগে ঋণের টাকার সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রে ‘খারাপ ট্র্যাক রেকর্ড’ রয়েছে পাকিস্তানের।

কেন ভারত ভোটদানে বিরত থাকল?

আইএমএফের নিয়ম অনুযায়ী, ভোটাভুটির ক্ষেত্রে বিরোধিতার কোনও সুযোগ নেই। অর্থাৎ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেওয়া যায় না। হয় সমর্থন করতে হবে নয়তো ভোটদানে বিরত থাকতে হবে। পাকিস্তানকে ঋণ মঞ্জুর না করার সপক্ষে ভারতের জোরালো যুক্তি থাকলেও ভোটাভুটিতে বিপক্ষে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। তাই ভোটদানে বিরত থেকেই প্রতিবাদ প্রতিষ্ঠার পথে হাঁটতে হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

শুক্রবার ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসেছিল আইএমএফের ঋণ সংক্রান্ত বোর্ড। সেখানেই ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, আইএমএফের ঋণ পাওয়ার যে শর্ত থাকে, তা মানতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। ভারতের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘আইএমএফের কাছ থেকে দীর্ঘ দিন ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে খারাপ নজির স্থাপন করেছে তারা। আইএমএফ প্রকল্পের শর্তও মানেনি।’’ ভারতের আরও অভিযোগ, ঋণের টাকা অনেক ক্ষেত্রে সীমান্তে সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজে ব্যবহার করেছে পাকিস্তান। ভারত আরও জানিয়েছে, গত ২৮ বছর ধরে আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেয়েছে পাকিস্তান। ২০১৯ সাল থেকে চারটি আইএমএফ প্রকল্প হয়েছে। আগের প্রকল্পগুলির ঋণের টাকা সঠিক ভাবে ব্যবহার করলে পাকিস্তান আরও একটা প্রকল্পের অধীনে ঋণ চাইত না। সে কারণে তাদের ঋণের অর্থের সদ্ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ভারত এ-ও জানিয়েছে, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বিষয়ে সে দেশের সেনা বেশি নাক গলায় বলেই বহু নীতি রূপায়ণ করা সম্ভব হয় না। সংস্কারমূলক পদক্ষেপ বাধাপ্রাপ্ত হয়। পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় থাকার পরেও অর্থনৈতিক বিষয়ে নাক গলায় সেনা। আর সে কারণেই ঋণের শর্ত মানেনি পাকিস্তান।

বছর দুয়েক আগে আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডারের কাছ থেকে সাতশো কোটি ডলারের ঋণের প্যাকেজ পেয়েছিল পাকিস্তান। অতিমারির পরে ডলারের তুলনায় পাকিস্তানি মুদ্রার দাম পড়ে গিয়েছিল। পাশাপাশি, ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি এবং জ্বালানির অভাবে ভুগছিল পাকিস্তান। সেই সময় আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডারের ঋণ পেয়ে কিছুটা চাঙ্গা হয় পাকিস্তানের অর্থনীতি। পরিবর্তে বেশ কিছু শর্তও মানতে বাধ্য ছিল পাকিস্তান। ভারত জানিয়েছে, এই শর্ত মানেনি তারা। শর্ত মেনে যে সংস্কার করার কথা ছিল, তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাদের দেশের সেনাই। ঋণের অর্থেরও সদ্ব্যবহার করেনি তারা। অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতের এই বক্তব্য বিচার করছে আইএমএফ। কেন ভারত ভোটদানে বিরত থাকল, তা-ও শুনেছে তারা। যদিও পাকিস্তানকে ঋণ মঞ্জুর করেছে আইএমএফ।

IMF India-Pakistan International Monetary Fund
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy