বুধবার থেকে দিল্লিতে বার্ষিক সীমান্ত বৈঠকে বসছে ভারত এবং নেপাল। তিন দিনের এই বৈঠক চলবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত। গত সেপ্টেম্বরে তরুণ (জ়েন জি)-দের বিক্ষোভের জেরে পতন হয় কেপি শর্মা ওলির সরকারের। আপাতত সে দেশের দায়িত্ব সামলাচ্ছে নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কীর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। নেপালে ওলি সরকারের পতনের পরে এই প্রথম বার সীমান্ত বৈঠকে বসছে দিল্লি এবং কাঠমান্ডু।
নেপাল সংলগ্ন ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারির দায়িত্বে রয়েছে সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি)। দিল্লিতে আয়োজিত তিন দিন ব্যাপী ওই বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধিদলদের নেতৃত্ব দেবেন এসএসবি-র ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জয় সিঙ্ঘল। অন্য দিকে নেপালের ভারত সংলগ্ন সীমান্তবর্তী এলাকার নজরদারি চালায় সে দেশের ‘আর্মড পুলিশ ফোর্স’ (এপিএফ)। বৈঠকে নেপালের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন এপিএফ-এর ইনস্পেক্টর জেনারেল রাজু আরিয়াল। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, সীমান্তকে ব্যবহার করে চলা অপরাধ দমন করতে এবং দু’দেশের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি করে নেওয়ার উদ্দেশ্যে আলোচনা হবে ওই বৈঠকে।
আরও পড়ুন:
এই নিয়ে নবম বার দু’দেশের মধ্যে সীমান্ত বৈঠক হচ্ছে। দু’দেশের বাহিনীর মধ্যে গত বছরের নভেম্বরে শেষ বার এই বৈঠক হয়েছিল। সেই বার বৈঠক আয়োজিত হয়েছিল নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে। বস্তুত, ভারত এবং নেপালের মাঝে প্রায় ১৭৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে, যেখানে কোনও কাঁটাতার নেই। সাম্প্রতিক সময়ে লুকিয়ে এই নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগও উঠে এসেছে। এ অবস্থায় সীমান্তকে ব্যবহার করে অপরাধমূলক কার্যকলাপের চেষ্টাও করেন দুষ্কৃতীরা। যৌথ ভাবে তা প্রতিহত করতেই দু’দেশ বৈঠকে বসছে।