Advertisement
০২ মে ২০২৪
Rahul Gandhi

‘সারেন্ডার মোদী’ বলে ফের বিজেপির তোপের মুখে রাহুল

লাদাখে চিনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় জওয়ানদের মৃত্য়ুতে লাগাতার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে‌ আসছেন রাহুল গাঁধী।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২০ ১৭:৫৫
Share: Save:

লাদাখে ভারতীয় জওয়ানদের মৃত্যুতে লাগাতার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে চলেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। এ বার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী চিনের কাছে ভারতীয় ভূখণ্ড সমর্পণ করেছেন বলে আগেই মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘সারেন্ডার’ মোদী বলে বসলেন তিনি। যদিও প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি আত্মসমর্পণকারী বলে দাগিয়ে দেননি রাহুল। বরং সারেন্ডার শব্দটির বানানে কৌশল ব্যবহার করেছেন তিনি।

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ নিয়ে গত সোমবার লাদাখে চিনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে ভারতীয় জওয়ানদের। তাতে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান প্রাণ হারান। প্রাণহানি ঘটে চিনের তরফেও। সেই নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে দুই দেশের মধ্যে টানাপড়েন চলছে। দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে এই সঙ্ঘাত মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেরও।

তার মধ্যেই জাপানের একটি সংবাদমাধ্যমে মোদীর বিদেশনীতির তীব্র সমালোচনা করা হয়। বলা হয়, প্রতিবেশী দেশের আগ্রাসী মনোভাব সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই যেন তেন প্রকারে চিনকে তুষ্ট রাখতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে যে কোনও লাভ হবে না, তা বুঝে উঠতে পারেননি। তিনি।

রাহুল গাঁধীর টুইট।

জাপানের ওই সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টটি তুলে ধরেই এ দিন প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন রাহুল। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী আসলে সুরেন্দ্র মোদী।’’ রাহুলের এই টুইট ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। কিন্তু ইংরেজির Surrender শব্দটিকে রাহুল Surender লেখায় অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেন। রাহুল বানান ভুল করেছেন বলে দাবি করেন কেউ কেউ। অনেকে আবার বলেন, এ ভাবে বানান ভুল করার লোক রাহুল নন। আসলে শব্দ নিয়ে খেলছেন উনি। নামের সঙ্গে মিল রেখে প্রধানমন্ত্রীকে ইচ্ছাকৃত ভাবেই সুরেন্দ্র বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: চিন সীমান্তে কড়া নজর, দরকারে বলপ্রয়োগের পূর্ণ স্বাধীনতা সেনাকে​

আরও পড়ুন: শ্রীনগরে বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম ৩ জঙ্গি​

মীনাক্ষী লেখির টুইট।

এ নিয়ে রাহুল যদিও কোনও সাফাই দেননি। তবে তাঁর এই মন্তব্যে চটেছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। রাহুলের বিরুদ্ধে টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দলের সাংসদ মীনাক্ষী লেখি। রাহুলের টুইটটিকে উদ্ধৃত করে তিনি লেখেন, ‘‘যা চোখে দেখা যায়, কখনও কখনও তা সত্য হয় না। কিন্তু যা রয়েছে অথচ চোখে পড়ছে না, তার কী হবে? চিনের তত্ত্ব প্রচার করে এমন বহু হ্যান্ডল নিষিদ্ধ করে দিয়েছে টুইটার, কিন্তু চিনের তত্ত্ব প্রচারকারী সবচেয়ে বড় হ্যান্ডলটিই চোখে পড়েনি তাদের। চিনা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি প্রধানমন্ত্রীর মোদীর হ্যান্ডল নিষিদ্ধ করে দিয়েছে অথচ এই হ্যান্ডলটিকে রেখে দিয়েছে। ধন্দ লাগছে।’’

হিমন্ত বিশ্ব শর্মার টুইট।

অসমের বিজেপি বিধায়ক হিমন্ত বিশ্ব শর্মা টুইটারে লেখেন,। ‘‘রাহুল গাঁধী, আপনি এতটাই উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন যে একটা বানানও ঠিক করে লিখতে পারেন না! আর আত্মসমর্পণ নেহরু-গাঁধী পরিবারের হলমার্ক। ১৯৬২ সালে অসম প্রায় সমর্পণ করতে বসেছিলেন পণ্ডিত নেহরু। চিনা বাহিনী যখন বোমডি লা দখল করে, তখন নেহরু বলেন, ‘‘অসমবাসীর জন্য আমার মন কাঁদছে। লজ্জা।’’

অমিত মালব্যর টুইট।

বিজেপি তথ্য-প্রযুক্তি শআখার প্রধান অমিত মালব্য টুইটারে লেখেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে লাগাতার আক্রমণ করে রাহুল গাঁধী আসলে প্রপিতামহ নেহরুর পাপ মেটানোর চেষ্টা করছেন , যিনি কিনা চিনের হাতে ভারতীয় ভূখণ্ড তুলে দিয়েছিলেন। রাফাল নিয়ে প্রশ্ন তুলে এর আগে বাবার বোফর্স কাণ্ডও চাপা দেওয়ারর চেষ্টা করেছিলেন উনি। কিন্তু দেশ সব জানে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE