অপারেশন সিঁদুরের জবাবে ভারতে পাল্টা হামলার ছক কষেছিল পাকিস্তান। পাক সেনার সেই ছক তো প্রতিহত করা হয়েইছে, ভারতের প্রত্যাঘাতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে লাহৌরের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও। সেই সূত্রেই আলোচনায় পাকিস্তানের সেই চিনা বর্ম ‘এইচকিউ-৯পি’।
শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র বা বিমান হামলা আটকানোর জন্য নানা ধরনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশ। ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মূল হাতিয়ার হল রাশিয়ার তৈরি ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’, যে ব্যবস্থায় পাকিস্তানের ড্রোন-মিসাইল হামলা বুধবার রাতে প্রতিহত করেছে ভারত। এ রকম আরও একটি নজরকাড়া প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে ইজ়রায়েলের, যার পোশাকি নাম ‘আয়রন ডোম’। তেমনই পাকিস্তান ব্যবহার করে চিনের তৈরি ‘এইচকিউ-৯পি’। খুব সম্ভবত, ‘পি’-এর অর্থ পাকিস্তান।
রিপোর্ট বলছে, এই ‘এইচকিউ-৯পি’ ব্যবস্থা ২০২১ সাল থেকে ব্যবহার করা শুরু করেছে পাকিস্তান। গত বছর পাকিস্তান প্যারেড দিবসে তা প্রথম জনসমক্ষে আনা হয়। ১০০ থেকে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারে এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। বেজিঙের এই হাতিয়ারে রয়েছে এইএসএ রেডারও। পাশাপাশি, এস-৪০০-র মতো এতেও ১৪ ম্যাক গতির ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা দিয়ে মাঝ-আকাশে লড়াকু জেট বা ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করা সম্ভব।
সূত্রের খবর, মূলত লাহোর এবং রাজধানী ইসলামাবাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এইচকিউ-৯পি/এইচকিউ-৯বিই মোতায়েন করেছে পাক ফৌজ। কিন্তু, ২০২২ সালের ৯ মার্চ ভুলবশত ভারত থেকে ছোড়া ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র লাহৌর সংলগ্ন মিয়া চন্নু এলাকায় আছড়ে পড়ে। ক্ষেপণাস্ত্রটিকে চিহ্নিত পর্যন্ত করতে পারেনি এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। বৃহস্পতিবারেও তা-ই ঘটেছে। ভারতের জবাব প্রতিহত করতেই পারল না ‘এইচকিউ-৯পি’। উল্টে গোটা ব্যবস্থাই মুখ থুবড়ে পড়েছে।
ভারত সরকার জানিয়েছে, বুধবার রাতে এবং বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের কয়েকটি জায়গায় সেনাছাউনিতে ড্রোন এবং মিসাইল হামলার ছক কষেছিল পাকিস্তান। তার মধ্যে রয়েছে শ্রীনগর, পঠানকোট, অমৃতসর, লুধিয়ানা এবং চণ্ডীগড়। কিন্তু পাক সেনার সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ভারতীয় সেনাও তার জবাব দিয়েছে। তাতে লাহৌর-সহ পাকিস্তানের একাধিক জায়গায় এয়ার ডিফেন্স রেডার সিস্টেম ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এ কাজে ‘ইন্টিগ্রেটেড কাউন্টার ইউএএস গ্রিড’ সিস্টেম ব্যবহার করেছে ভারত।