১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে কলেরার অতিমারি প্রথম দেখা গিয়েছিল তৎকালীন কলকাতায়। একে বলা হয় ‘ফার্স্ট এশিয়াটিক কলেরা প্যান্ডেমিক’ বা ‘এশিয়াটিক কলেরা’। চিকিৎসাশাস্ত্রের গবেষকদের ধারণা, কুম্ভমেলা পরবর্তী সময়ে কলেরা ছড়িয়ে পড়েছিল উচ্চ গাঙ্গেয় বদ্বীপ থেকে। তারপর সেই রোগ ব্রিটিশ সৈন্য, নৌবাহিনী ও বাণিজ্যতরীর মাধ্যমে পৌঁছে গিয়েছিল অন্যান্য মহাদেশে।
কী ভাবে ছড়িয়ে পড়ত কলেরা? এ নিয়ে তখন দ্বিধাবিভক্ত ছিলেন বিশ্বজুড়ে চিকিৎসকরা। আধুনিক গবেষকদের ধারণা, তখনও বহু দেশে মূলত নদীর জলই পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করা হত। তার থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল অসুখ। তা ছাড়া, বিশ্বজুড়ে মানুষের পরিযাণ বা মাইগ্রেশন কমবেশি জারি থাকে কমবেশি সবসময়েই। ফলে তাদের এবং দেশান্তরে যাওয়া সৈন্য ও ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে রোগের ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগত না।
১৯৭৪ সালে ভারতে দেখা দেয় বসন্তরোগের মহামারি। সে বছর জানুয়ারি থেকে মে মাস অবধি ১৫ হাজারের বেশি মানুষ গুটি বসন্তরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সবথেকে বেশি মানুষ প্রাণ হারান বিহার, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে। হু-এর হিসেব মতো এই পাঁচ মাসে ভারতে গুটি বসন্তরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬১ হাজার ৪৮২ জন। প্রাণে রক্ষা পেলেও অনেকে এই রোগের জেরে হারিয়েছিলেন দৃষ্টিশক্তি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy