ফেব্রুয়ারিতে জেলায় একটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় উদ্ধারকাজে পুলিশকে সাহায্য করেছিলেন অনিল। তাঁর তপৎরতায় বাঁচানো গিয়েছিল বহু মানুষকে। অনিলের এই কাজ প্রশংসা কুড়িয়েছিল জেলার পুলিশকর্তা এবং জেলা প্রশাসনের। তাঁর প্রতিদান হিসেবেই পুলিশের এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাজেশ বলেন, ‘‘২০ এপ্রিল (সোমবার) অনিল এবং জয়তীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা ঠেকাতে দেশ জুড়ে লকডাউনের এই সময়ে কী করে বিয়ে হবে, তাই নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান অনিল। তিনি আমাদের কাছে এসে সমাধান চান।’’ কিন্তু পুলিশ হবু বরকে মনে করিয়ে দেয়, বর্তমানে কোনও রকম সামাজিক জমায়েত নিষিদ্ধ। রাজেশ জানান, উপায় বাতলান অনিল নিজেই। তিনি প্রস্তাব দেন, পুলিশ অনুমতি দিলে ধিনা থানার ভিতরের শিবমন্দিরে তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠান করা যায়। অনিল পুলিশকে কথা দেন, বিয়েতে তাঁর এবং কনের তরফ থেকে মাত্র পাঁচ জন করে লোক উপস্থিত থাকবেন। এসএইচও রাজেশ বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে আমরা অনিলের প্রস্তাবে রাজি হই। বিয়ের মাত্র দু’দিন আগে আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’’ এই পরেই ধিনা থানা বদলে যায় বিবাহ আসরে। বিয়েতে হাজির ছিলেন বেশ কয়েক জন পুলিশকর্তা। সকলের শুভেচ্ছা নিয়ে বিয়ে সেরে থানা থেকে বেরিয়ে আসেন অনিল এবং জয়িতা।
সারা জীবন এই নবদম্পতির হয় তো মনে থেকে যাবে, কী ভাবে শুরু হয়েছিল তাঁদের দাম্পত্য জীবন।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)