Advertisement
E-Paper

দেশে ফিরে কোন কোন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে পারেন অভিনন্দন

ওয়াঘা সীমান্ত থেকেই বাড়ি ফিরতে পারবেন না অভিনন্দন। বরং সেখান থেকে সরাসরি বায়ুসেনার গোয়েন্দাদের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁকে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৯ ১৬:৫৩
অভিনন্দন বর্তমান।—ফাইল চিত্র।

অভিনন্দন বর্তমান।—ফাইল চিত্র।

প্রায় আটচল্লিশ ঘণ্টা পর দেশে ফিরতে চলেছেন বায়ুসেনার পাইলট অভিনন্দন বর্তমান। সেই উপলক্ষে উত্সবের আবহ দেশজুড়ে। অভিনন্দনকে স্বাগত জানাতে ওয়াঘা সীমান্তে ভিড় জমিয়েছেন জনে জনে মানুষ। কিন্তু দেশে ফিরেই কি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন তিনি? সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, অসীম সাহসের পরিচয় দিয়েছেন অভিনন্দন বর্তমান। ১৯৭০ সালে তৈরি পুরনো মিগ-২১ নিয়ে অত্যাধুনিক পাক যুদ্ধবিমান এফ-১৬কে তাড়া করে সে দেশে ঢুকে পড়েন তিনি। এর জন্য অবশ্যই প্রশংসা প্রাপ্য তাঁর। কিন্তু শত্রুদেশের হেফাজত থেকে ফিরেছেন, দফায় দফায় জেরার মধ্য দিয়ে যেতেই হবে তাঁকে।

বায়ুসেনার পক্ষ থেকে যদিও এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে অভিনন্দন কোন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন, বায়ুসেনা আধিকারিকদের কাছ থেকে তার ইঙ্গিত মিলেছে—

আরও পড়ুন: আবেগে ভাসলেন সহযাত্রীরা, উঠে দাঁড়িয়ে বিমানেই অভিবাদন অভিনন্দনের বাবা-মাকে​

ওয়াঘা সীমান্ত থেকেই বাড়ি ফিরতে পারবেন না অভিনন্দন। বরং সেখান থেকে সরাসরি বায়ুসেনার গোয়েন্দাদের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁকে। বেশ কিছু ডাক্তারি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে অভিনন্দনকে। দেখা হবে তিনি ফিট কিনা। বন্দিদের শরীরে অনেকসময় মাইক্রোচিপ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, যার মাধ্যমে আড়ি পেতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেয় শত্রুপক্ষ। অভিনন্দনের শরীরে সেরকম কোনও চিপ বসানো হয়েছে কিনা, তা স্ক্যান কেরে দেখা হবে। মনোবিদের কাছেও নিয়ে যাওয়া হবে অভিনন্দনকে। বন্দি থাকা অবস্থায় ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত তথ্য হাতাতে শত্রুপক্ষ তাঁকে অত্যাচার করেছে কিনা তা জানার চেষ্টা করা হবে। পাকিস্তানে কোনও ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে কিনা দেখা হবে তাও।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে দেওয়া ডসিয়ের-এ কী বলল ভারত?​

অভিনন্দনকে জেরা করতে আনা হতে পারে ইনটেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) এবং রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র) আধিকারিকদেরও। তবে সচরাচর পাইলটদের তাঁদের হাতে তুলে দেয় না বায়ুসেনা। তাই অভিনন্দনের ক্ষেত্রে তা নাও হতে পারে। পাকিস্তানে পা রাখা থেকে ওয়াঘা সীমান্ত পার করা, গোয়েন্দাদের প্রতি মুহুর্তের সবিস্তার বর্ণনা দিতে হবে অভিনন্দনকে। বন্দি অবস্থায় তাঁর কাছে কী কী জানতে চাওয়া হয়, তা জানাতে হবে তাঁকে। বুধবার তিনি বিমানে ওঠা থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বিমান ভেঙে পড়া পর্যন্ত গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করবেন গোয়েন্দারা। পাক সেনাবাহিনী তাঁর মিগকে নিশানা করতে করে কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেছিল, তাও জানার চেষ্টা করা হবে। তাঁর সঙ্গে থাকা কোন কোন নথি তিনি নষ্ট করতে পেরেছিলেন এবং কী কী নথি পাক সেনার হাতে পৌঁছেছে তারও তালিকা তৈরি করা হবে। শত্রুপক্ষের হাতে বন্দি ছিলেন অভিনন্দন। সেখানে তাঁকে আপসের কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কি না, তাঁকে ব্যবহার করার কোনও চক্রান্ত কোনও করা হয়েছি কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করবেন গোয়েন্দারা। এই গোটা পদ্ধতিকে সামরিক পরিভাষায় বলা হয় ‘ডিব্রিফিং’।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বায়ুসেনা আধিকারিক জানিয়েছেন, জেরা এবং ডাক্তারি পরীক্ষায় নিজেকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সক্ষম প্রমাণ না করতে পারলে, আর কোনওদিনই হয়ত যুদ্ধবিমানে সওয়ার হতে পারবেন না অভিনন্দন। সে ক্ষেত্রে ডেস্কের কাজে বসিয়ে দেওয়া হতে পারে তাঁকে। তবে তাঁর সঙ্গে কোনওরকম বৈষম্যমূলক আচরণ করা হবে না। খেয়াল রাখা হবে, কোনও পরিস্থিতিতেই তাঁকে যেন অসম্মানিত হতে না হয়।

(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)

India-Pakistan Conflict Abhinandan Varthama IAF RAW IB Wagah Border
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy