দিল্লিতে আজ থেকে শুরু হল সুফি কবি এবং সঙ্গীতজ্ঞ হজরত আমির খসরুকে নিয়ে বার্ষিক অনুষ্ঠান। তাতে যোগ দেওয়ার জন্য লাহৌরে পৌঁছেও গিয়েছেন পাকিস্তানের ১৭৬ জন সন্ত। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস পেলেও এখনও পর্যন্ত ঝুলছে তাঁদের ভিসা-ভাগ্য। সূত্রের খবর, পাকিস্তানে ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে তাঁদের বলা হয়েছে অপেক্ষা করতে। এ ব্যাপারে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
‘শেষ মুহূর্তে’ যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক তাঁরা অনুষ্ঠানের প্রথম দিন, অর্থাৎ আজ এসে পৌঁছতে পারলেন না। ইমন এবং জিলা কাফি রাগের প্রণেতা আমির খসরুকে নিয়ে অনুষ্ঠানও কিছুটা মলিন হয়ে গেল বলে মনে করছেন কূটনীতিকেরা। এ ক্ষেত্রে গোড়া থেকেই কোনও স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি নয়াদিল্লি। আজও বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রভিশ কুমার বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।’’
বিষয়টি নিয়ে কিছুটা অবাক পাকিস্তান। কারণ, গত কয়েক দিন ধরেই এ নিয়ে স্পষ্ট ভাবে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ কোনওটাই জানায়নি ভারতীয় দূতাবাস। কূটনৈতিক সূত্রের দাবি, দূতাবাস অপেক্ষা করছে সাউথ ব্লকের নির্দেশের জন্য। প্রাথমিক ভাবে সবুজ সংকেত গিয়েছিল বলেই খবর। শুধু তাই নয়, এই প্রথম দূতাবাস থেকে আগ্রহী সন্তদের পাসপোর্টও জমা দিতে অনুরোধ করা হয়েছিল পাক ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রককে। কিন্তু তারপর আবার পিছু হটেছে নয়াদিল্লি।
আরও পড়ুন: মোদীর সামনেই কাশ্মীর নিয়ে ফোঁস রাজনাথের
সম্প্রতি লখনউয়ের পাসপোর্ট অফিসে ধর্ম নিয়ে দম্পতিকে হেনস্থার ঘটনার মত এই বিষয়টিকেও ধর্মীয় মেরুকরণের আলোয় দেখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। লখনউয়ে হেনস্থার ঘটনায় অভিযুক্ত অফিসারকে বদলি করে দেওয়া হয়। তার জেরে গেরুয়াবাহিনীর নিন্দার মুখে পড়েন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এখনও পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ বা মোহন ভাগবতকে সুষমার পাশে এসে দাঁড়াতে দেখা যায়নি। সূত্রের খবর, আমির খসরুর অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের সন্তদের আনার উদ্যোগে এখনও সিলমোহর লাগায়নি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy