আচমকা ঘা খেয়ে টালমাটাল শত্রুরা পাল্টা ঘা দিয়ে আনন্দে উদ্বাহু হতে পারে! ‘ঘরশত্রু বিভীষণ’দের মনোবল বাড়াতে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান আজ, বৃহস্পতিবার গভীর রাতেই নিয়ন্ত্রণরেখায় অধিকৃত কাশ্মীর থেকে শুরু করতে পারে লাগাতার গোলাবর্ষণ। কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপরের আকাশ চিড়ে দিতে পারে হানাদার পাক বোমারু বিমান। ও-পারে ইতিমধ্যেই সেই তোড়জোড়, প্রস্তুতির খবর পেয়ে সব আঁটঘাট বেঁধেই তৈরি হয়ে আছে ভারত। স্থলে শোনা যাচ্ছে ভারতীয় সেনা জওয়ানের বুটের গটগট আওয়াজ। তৈরি বফর্স কামান। অন্তরীক্ষে চক্কর মারছে ভারতীয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান। পাকিস্তানের আকাশে আজ দুপুর থেকেই চক্কর মারতে দেখা গিয়েছে হানাদার বোমারু বিমানগুলিকে। কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখায় উরি, কুপওয়ারা আর পুঞ্চ সেক্টরগুলি এখন থরথর করে কাঁপছে উত্তেজনায়। উত্তেজনায় কাঁপছে রাজৌরি সেক্টরও। ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি হয়েছে নৌশেরায়। আর এস পুরায়। ওই সেক্টরগুলিতে আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা গ্রামবাসীদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এলাকা ছেড়ে অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে। সরিয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে গবাদি পশু। ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে সাম্বা ও কাহুটা গ্রামে। অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে পঞ্জাব সীমান্তের গ্রামগুলির বাসিন্দাদেরও। ওই সব এলাকার স্কুলগুলিকেও অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। স্কুলগুলিতে আজ থেকেই ‘ছুটি’ ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। পঞ্জাবের ৬টি জেলা ভারত-পাক আন্তর্জাতিক সীমান্তের লাগোয়া। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদল রাজ্য প্রশাসনকে যে কোনও রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে বলেছেন। রাজ্যের ফিরোজপুর, ফাজিলকা, অমৃতসর, তরণ তারণ, গুরুদাসপুর ও পঠানকোট জেলাগুলিতে জারি করা হয়েছে ‘হাই অ্যালার্ট’। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। বাদলকে সীমান্তের গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা একশো শতাংশ নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজনাথ।
সরানো হচ্ছে পঞ্জাবের গ্রামবাসীদের