পাকিস্তানে প্রত্যাঘাতের পর ভারতের একটি অস্ত্র নিয়ে জোর চর্চা চলছে। যে অস্ত্র নিঃশব্দে পাক ভূখণ্ডে গিয়ে জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে গুঁড়িয়ে দিয়ে এসেছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। সূত্রের খবর, সেই হামলায় যে অস্ত্রগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল, তার মধ্যে রয়েছে স্ক্যাল্প, হ্যামার ক্ষেপণাস্ত্র। কিন্তু আরও একটি মারণ অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। সেটি হল আত্মঘাতী ড্রোন স্কাই স্ট্রাইকার। এই ড্রোন নজরদারি ড্রোনের মত নয়। এই ড্রোন অনেকটা ক্ষেপণাস্ত্রের মতোই কাজ করে।
এই ড্রোন ৫-১০ কেজি বিস্ফোরক বহন করতে পারে। ১০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে খুঁজে নিখুঁত নিশানায় সক্ষম এই ড্রোন। শুধু তা-ই নয়, নিঃশব্দে হামলা চালাতে পারে এটি। আর সেই সুবিধাকেই কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষের ঠিকানায় হামলা চালানো আরও সহজ হয়। ইজ়রায়েলি প্রযুক্তির এই ড্রোন বানানো হয়েছে বেঙ্গালুরুতে। এই ড্রোনের বিশেষত্ব পরীক্ষা করার পর ২০২১ সালে ভারত সরকার একশোটিরও বেশি বরাত দিয়েছিল। প্রসঙ্গত, বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইকের পরই এই ড্রোন কেনার সিদ্ধান্ত হয় বলে সূত্রের খবর।
কম শব্দের জন্য গোপন কোনও অভিযানে এই স্কাই স্ট্রাইকার ড্রোন অনবদ্য। শুধু তা-ই নয়, প্রতিপক্ষের রেডারেও ধরা পড়ার ভয় নেই। সহজেই সেই নজরদারি এড়িয়ে প্রতিপক্ষের ঘরে ঢুকে হামলা চালাতে পারে। বিশেষত জঙ্গিডেরায় হামলা চালানোর কাজে এই ড্রোন খুবই কার্যকার প্রমাণিত হয়েছে। এই ধরনের ড্রোন ‘লয়টারিং মিউনিশন’ গোত্রের মধ্যে পড়ে। অর্থাৎ, এই ধরনের ড্রোন হামলাস্থলের উপরে চক্কর কাটতে কাটতে সঠিক সময়ে হামলা চালায়।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের ৯ জায়গায় প্রত্যাঘাত করে ভারতীয় সেনা। জইশ এবং লশকরের বেশ কিছু ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই হামলায় কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল তা নিয়েই বিস্তর চর্চা শুরু হয় দেশ জুড়ে। বিভিন্ন সূত্র মারফত দাবি করা হয়, এই অভিযানে স্ক্যাল্প এবং হ্যামার ক্ষোপণাস্ত্রের পাশাপাশি স্কাই স্ট্রাইকার ড্রোনও ব্যবহার করা হয়েছিল।
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার পাকিস্তান দাবি করে, তাদের ভূখণ্ডে ভারতের ১২টি ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে। ঘটনাচক্রে, যে ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে, সেগুলিও ইজ়রায়েলি ড্রোন। নাম হ্যারপ।