মিশন মস্কো!
রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত মৈত্রী যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, তা নিশ্চিত করতে এ বার উঠেপড়ে লেগেছে নয়াদিল্লি। সরকারের নিরাপত্তা বিষয়ক শীর্ষ পদগুলিতে যে ভাবে রাশিয়া বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগানো হচ্ছে, তা থেকেই এই সরকারের এই অভিমুখটি বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন কূটনীতির পর্যবেক্ষকরা।
রাশিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত পঙ্কজ সরনকে ডেপুটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করা হয়েছে সম্প্রতি। ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের অগ্রগতিতে এক সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত পি এস রাঘবনকে করা হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বোর্ডের আহ্বায়ক।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল নিজে ভারত-রাশিয়া কৌশলগত সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছেন। রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে— আমেরিকার এই আইনের সঙ্গে যুঝছে ভারত। তবু স্থির হয়েছে, শেষ পর্যন্ত যদি ট্রাম্প প্রশাসন অনড় থাকে তাতেও রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা কেনা থেকে পিছপা হবে না ভারত। এই দর কষাকষিতে ডোভালই অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছেন, এমনটাই খবর। সম্প্রতি রাশিয়ার সোচিতে সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকটির পিছনেও ছিল ডোভালের দৌত্য।
পঙ্কজ সরন এবং রাঘবন দু’জনেই রুশ ভাষায় স্বচ্ছন্দ। গড়গড় করে বলতেও পারেন। তাঁদের সঙ্গে রাশিয়ার শীর্ষ পর্যায়ের নীতি নির্ধারকদের ব্যক্তিগত সমীকরণ যথেষ্ট ভাল। অন্য ডেপুটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রাজিন্দর খন্না ছিলেন র-এর প্রধান। ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে তিনি বিশেষ ওয়াকিবহাল। এ ব্যাপরে রাশিয়ার অবস্থান নিয়েও যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, গত এক-দেড় বছরে ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক তার অতীতের মসৃণতা খুইয়েছে অনেকটাই। ইসলামাবাদের সঙ্গে মস্কোর ঘনিষ্ঠতা নিয়েও রক্তচাপ বাড়ছে নয়াদিল্লির। সে কারণেও এই সাজো সাজো রব।