রাষ্ট্রপুঞ্জে কাশ্মীর নিয়ে প্রশ্ন তুলে পাল্টা পাক অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) নিয়ে তোপের মুখে পড়তে হল পাকিস্তানকে। পাকিস্তানের ‘অবৈধ ভাবে দখল’ করা এলাকায় মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সরব হল ভারত। গণতন্ত্র নিয়েও ইসলামাবাদকে খোঁচা দিল নয়াদিল্লি। শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পর্বতানেনি হরিশ কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের তোলা প্রশ্নের জবাব দিয়ে বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ ভারতের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের ধারা অনুসরণ করে নিজেদের মৌলিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। আমরা জানি এই ধারণা পাকিস্তানে ভিন্গ্রহী ব্যাপার।”
পাকিস্তানের অবৈধ ভাবে দখল করা এলাকাগুলিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করার আহ্বানও জানিয়েছেন ভারতের প্রতিনিধি। তিনি বলেন, “আমরা বলছি যে, অবৈধ ভাবে দখল করা এলাকায়, যেখানে সাধারণ মানুষ পাক সেনার শাসন, শোষণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করছে, সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা বন্ধ করুক পাকিস্তান।”
অক্টোবরের গোড়ায় ‘মৌলিক অধিকারের’ দাবিতে এবং সরকারের বিরোধিতা করে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষজন। পুলিশ এবং পাক সেনার সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ান তাঁরা। সংঘর্ষে বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়। সেই সময়ই একটি বিবৃতি দিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচারের নিন্দা করেছিলেন। ফের পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে ইসলামাবাদকে তোপ দাগল নয়াদিল্লি।