Advertisement
E-Paper

পাক হানা রুখেছে ‘সুদর্শন চক্র’! আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও মজবুত করতে নয়া তিন ক্ষেপণাস্ত্র আনছে ভারত, সেগুলি কী কী?

পাক হামলা রুখে দিতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল এস ৪০০ ট্রায়াম্ফ (সুদর্শন চক্র), এল ৭০, শিল্কা, জ়ু ২৩ এবং আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। আকাশসীমাকে আরও নিশ্ছিদ্র করতে প্রস্তুতি ভারতের।

দেশীয় প্রযুক্তিতে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র আনছে  ভারত। ফাইল চিত্র।

দেশীয় প্রযুক্তিতে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র আনছে ভারত। ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৫ ১৪:৩৬
Share
Save

‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে সামরিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল তা প্রশমিত হলেও, এই পরিস্থিতিতে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যে ভাবে পাক হামলাকে রুখে দিয়েছে, তা অনস্বীকার্য। আর এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে এস ৪০০ ট্রায়াম্ফ (সুদর্শন চক্র), এল ৭০, শিল্কা, জ়ু ২৩ এবং আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। পাকিস্তানের ছোড়া ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রকে একযোগে আকাশেই ধ্বংস করে দেশের নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করেছে এই সামরিক ‘হিরো’রা।

তবে আকাশসীমাকে আরও নিশ্ছিদ্র করতে এবং শত্রুপক্ষ যাতে কোনও ভাবেই দেশের আকাশসীমার নিরাপত্তার বেড়াজাল ভেঙে দিতে না পারে, তার জন্য আরও তিন নতুন ক্ষেপণাস্ত্র আনতে চলেছে ভারত, যা সেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।

কুইক রিঅ্যাকশন-এসএএম: পুরো নাম কুইক রেসপন্স সারফেস টু এয়ার মিসাইল। এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি তৈরি করছে ডিআরডিও। এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কম উচ্চতায় লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে পারে। কম উচ্চতায় যদি কোনও ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুদ্ধবিমান ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে হামলার চেষ্টা করে, তখন এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্রুত সক্রিয় হবে। ৩৬০ ডিগ্রি কোণে নজরদারি চালাবে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ২০২৪ সালে এই ক্ষেপণাস্ত্রটির সফল পরীক্ষা করা হয়েছে। যেখানে ‘সোয়ার্ম ড্রোন’ অর্থাৎ ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন ধ্বংস করেছে। এটি যুদ্ধক্ষেত্রে ‘গেম চেঞ্জার’ হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ২৫-৩০ কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে পারে।

ভিএল এসআরএসএএম: পুরো নাম ভার্টিকালি লঞ্চ্‌ড শর্ট রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল। অর্থাৎ স্বল্পপাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র এটি। এই ক্ষেপণাস্ত্র ২০-২৩০ কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে পারে। ডিআরডিও এবং নৌসেনার যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে। বায়ুসেনা এবং নৌসেনার জন্য তৈরি করা হয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্র। আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার পরিপূরক এটি। আকাশে স্বল্প উচ্চতার কোনও লক্ষ্যবস্তু যেমন ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টার নিমেষে ধ্বংস করতে পারে। ২০২৪ সালে জল এবং স্থলে এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা হয়। এই ক্ষেপণাস্ত্র নৌসেনা এবং উপকূলরক্ষীবাহিনীর জন্য বিশেষ উপযুক্ত।

আকাশ এনএসজি: পুরো নাম আকাশ নেক্সট জেনারেশন। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ৭০-৮০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে নিখুঁত ভাবে নিশানা করতে পারে। এটি আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার উন্নততর রূপ। ডিআরডিও এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে। এটি মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্রে অত্যাধুনিক রেডার রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করে নিশানা করার ক্ষমতাও রয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রকে বরাক ৮ ক্ষেপণাস্ত্রের পরিপূরক হিসাবে মনে করা হচ্ছে।

Air Defence System India

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে আপনার সাবস্ক্রিপশন আপনাআপনি রিনিউ হয়ে যাবে

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।