পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে সামরিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তা প্রশমনের পর মঙ্গলবার সকালে পঞ্জাবের আদমপুরের বায়ুসেনাঘাঁটিতে পৌঁছোন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বায়ুসেনার জওয়ানদের সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ কথাও বলেন।
ঘটনাচক্রে, এই বায়ুসেনাঘাঁটিতেই ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন দিয়ে হামলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং বায়ুসেনার তৎপরতায় সেই হামলা প্রতিহত করা হয়েছে। শুধু আদমপুর বায়ুসেনাঘাঁটিই নয়, আরও কয়েকটি বায়ুসেনাঘাঁটিতে হামলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। সব ক’টি হামলাই ব্যর্থ করেছে সেনা। পাকিস্তানের মাটিতে প্রত্যাঘাত এবং পাক হামলা দক্ষতার সঙ্গে রুখে দেওয়ায় তিন বাহিনীর প্রশংসা শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মুখে। এ বার খোদ তাঁদের সঙ্গেই দেখা করতে বায়ুসেনাঘাঁটিতে গেলেন প্রধানমন্ত্রী।
এক্স হ্যান্ডলে বায়ুসেনাঘাঁটিতে জওয়ানদের সঙ্গে নিজের ছবি পোস্ট করেন মোদী। তিনি লেখেন, ‘‘মঙ্গলবার সকালে আদমপুরের বায়ুসেনাঘাঁটিতে গিয়েছিলাম। আমাদের বাহাদুর জওয়ানদের সঙ্গে দেখা করলাম। যারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, বাহাদুরির সঙ্গে লড়াই করেছে, তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ আমার কাছে এক বিশেষ অভিজ্ঞতা। সেনাবাহিনীর প্রতি গোটা দেশ কৃতজ্ঞ। তারা দেশের সুরক্ষার জন্য সর্বদা প্রস্তুত।’’
সোমবার দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে তিন বাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা শোনা গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সেনাবাহিনী সর্বদা সতর্ক। আকাশ, জল থেকে মাটি-সর্বত্র আমরা প্রস্তুত থেকেছি। ‘নতুন নর্মাল’ তৈরি করেছে সেনা। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে আবার জবাব দেওয়া হবে। কোনও ‘নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল’ (পরমাণু হুমকি) ভারত সহ্য করবে না।’’
মোদী দাবি করেন, রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট সন্ত্রাসের (‘স্টেট স্পনসর্ড টেররিজ়ম’) বড় উদাহরণ পহেলগাঁও কাণ্ড। তাঁর কথায়, ‘‘প্রত্যেকটি যুদ্ধের ময়দানে আমরা পাকিস্তানকে পর্যুদস্ত করেছি। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এও আমরা সেই শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করলাম।’’ প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওকাণ্ডের পর গত ৭ মে পাকিস্তানের মাটিতে প্রত্যাঘাত করে ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশ সিঁদুর’। তার পর থেকে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক অস্থিরতা তৈরি হয়। পাক হামলার সমুচিত জবাব দিয়েছে ভারত।