Advertisement
E-Paper

অরুণাচলে জঙ্গি হানা, হত জওয়ান

শুক্রবারেই অরুণাচলের তিরাপ, চাংলাং, লংডিং জেলাকে অশান্ত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ৬ মাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২০ ০৪:৫০
বিস্ফোরণের পরে আসাম রাইফেলসের ট্যাঙ্কার। নিজস্ব চিত্র

বিস্ফোরণের পরে আসাম রাইফেলসের ট্যাঙ্কার। নিজস্ব চিত্র

ফের জঙ্গি হানা অরুণাচলে। এ বার চাংলাং জেলায় আসাম রাইফেলসের জলের ট্যাঙ্কার লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটাল জঙ্গিরা। মারা গেলেন এক জওয়ান। গুরুতর জখম হলেন আরও এক জন।

শুক্রবারেই অরুণাচলের তিরাপ, চাংলাং, লংডিং জেলাকে অশান্ত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ৬ মাস। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আঘাত হানল জঙ্গিরা। সেনার ধারণা, পরেশ বরুয়ার নেতৃত্বে আলফা স্বাধীন ও নিকি সুমির নেতৃত্বাধীন খাপলাং শাখার জঙ্গিরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ জানায়, সকাল ৯টা নাগাদ জয়রামপুরে হেতলং গ্রামে জল আনতে যাচ্ছিল ১৯ আসাম রাইফেলসের একটি ট্যাঙ্কার। রাস্তায় ছিল একটি ব্যক্তিগত গাড়িও। সেই সময় ওঁৎ পেতে থাকা প্রায় জনা বিশেক জঙ্গি হামলা চালায়। প্রথমে ঘটানো হয় বিস্ফোরণ। তারপর এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে চলে যায় জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই এক জওয়ান মারা যান। অন্য জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। অন্য গাড়িটিতে অনেক গুলি লাগলেও কেউ হতাহত হননি। গত বছর মে মাসে পাশের জেলা খোনসায় বিধায়ক টিরং আবো, তাঁর ছেলে ও আরও ৯ জনকে রাস্তায় আক্রমণ চালিয়ে হত্যা করেছিল নাগা জঙ্গিরা। সেই মাসেই নাগাল্যান্ডের মন জেলায় আসাম রাইফেলসের জলের ট্যাঙ্কারে হামলা চালিয়ে দুই জওয়ানকে হত্যা করে খাপলাং বাহিনী। এর পর বেশ কিছুদিন নাশকতা হয়নি অরুণাচল-নাগাল্যান্ডে। মায়ানমারে নাগা জঙ্গিদের ঘাঁটি উৎখাত করেছে সে সেনা। ভারতে থাকা জঙ্গিদের প্রায় সকলে শান্তি বৈঠকে যোগ দিয়েছে। এর মধ্যেই সম্প্রতি এনএসসিএন খাপলাং বাহিনীর সব শাখাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল কেন্দ্র। খাপলাং বাহিনীও এখন তিন ভাগ হয়ে গিয়েছে। খাংঘো কন্যাক ভারতে ঢুকে সংঘর্ষবিরতিতে যোগ দিয়েছেন। মায়ানমারে থাকা ইয়ং অং ও নিকি সুমির মধ্যেও বিভাজন হয়েছে।

Indian Army Arunachal Pradesh Militant
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy