প্রতীকী ছবি
পরের বছর ভোট। তাই বাঙালির স্বার্থরক্ষায় তৈরি ভারতীয় গণ পরিষদ দল ফের নতুন করে ঢেলে সাজানো হল। তৈরি হল ২৭টি জেলা সমিতিও। দলের মুখপাত্র শান্তনু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বর্তমান বিজেপি সরকার সামনে হিন্দু বাঙালির ত্রাতা হিসেবে নিজেদের দেখাতে চাইলেও তারা একাধারে এনআরসি, সিএএ, ডি-ভোটার সব চাপিয়ে দিয়ে বাঙালিদের উল্টে চাপে ফেলেছে এবং এত দিন অসমে বাঙালি, অসমিয়া, হিন্দু-মুসলিম, গোর্খা, বড়ো, কোচ-রাজবংশী, চা জনগোষ্ঠীদের মধ্যে যে সম্প্রীতি ছিল- তা নষ্ট করে দিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইছে।’’
দলের বক্তব্য, এত দিন ধরে, ১৬০০ কোটি টাকার বিনিময়ে তৈরি হল এনআরসি। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। সেই এনআরসি এই সরকার নস্যাৎ করে দিচ্ছে। অথচ ডিটেনশন শিবিরে মারা যাওয়া বা এনআরসির আতঙ্কে আত্মঘাতী হওয়া পরিবারগুলির পাশে কেউ দাঁড়াল না, তারা কোনও ক্ষতিপূরণ পেল না। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর ধলায় ৫ জন বাঙালিকে গুলি করে মারার বিচার হল না।
শান্তনুবাবুর মতে, গামোসা বনাম লুঙ্গির লড়াই জিইয়ে রেখে, ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে ফের নির্বাচন জেতার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। রাজ্য তথা দেশের বড় সমস্যা যাতে সামনে না আসে সে জন্যই হিমন্তবিশ্ব শর্মা মিয়াঁ সংগ্রহশালার মতো বিষয়গুলি নিয়ে নাটক করে চলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy