ভারতে শিল্পীর স্বাধীনতা আছে। সেই স্বাধীনতার জোরে চলচ্চিত্র পরিচালকদেরও ছবি বানানোর অধিকার আছে। সলমন খানের নতুন ছবি ‘ব্যাটল অব গলওয়ান’-এ তথ্য-বিকৃতির অভিযোগ তুলে চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম সরব হওয়ার পরে ভারত সরকারের সূত্র মারফত পাল্টা ভাসিয়ে দেওয়া হল এই ভাষ্য।
২০২০-তে লাদাখের গলওয়ানে ভারতীয় ও চিনা সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ নিয়ে তৈরি ছবিটিতে ১৬ বিহার রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার বি সন্তোষ বাবুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সলমন। চিনা সেনা (পিএলএ)-কে রুখতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন সন্তোষ। সেই ছবির ঝলক প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনায় ফেটে পড়ে চিন সরকারের সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস অভিযোগ তুলেছে, ছবিটির সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই। তাদের কথায়, ‘সিনেমার পর্দায় যতই বাড়িয়ে দেখানো হোক, ইতিহাস বদলাবে না। সার্বভৌম চিনা ভূখণ্ড রক্ষায় পিএলএ-র সংকল্পেও কাঁপন ধরবে না।’
সম্প্রতি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে একাধিক আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ সত্ত্বেও কাগজটি দাবি করেছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার লাগোয়া গলওয়ান উপত্যকা চিনের এলাকাতেই পড়ে। তারা লিখেছে, ‘ভারতীয় সেনার কাজকর্মে সীমান্ত এলাকার স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে। দুই দেশের সীমান্ত-সমঝোতা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূল নীতিটি লঙ্ঘন করেছে। ভারত হতাহতের সংখ্যা বাড়িয়ে দেখিয়েছে, তথ্য বিকৃতি এবং আন্তর্জাতিক স্তরে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে চিনা সেনার নাম কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছে।’ সিনেমাকে, বিশেষ করে বলিউডের ছবিকে ব্যবহার করে জাতীয়তাবাদী আবেগ উস্কে দেওয়াটা ভারতের ‘সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক পরম্পরা’ বলেও মন্তব্য করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। সরকারি ভাবে এর পাল্টা মুখ খোলেনি ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। তবে এ দেশের সরকারি সূত্রটির বক্তব্য, ‘‘ছবি নিয়ে কারও কোনও উদ্বেগ থাকলে স্বচ্ছন্দে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়ে ব্যাখ্যা চাইতে পারেন। এই ছবিতে সরকারের কোনও ভূমিকা নেই।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)