নৌবাহিনীর বিশেষ কমান্ডো বাহিনী বা মারকোস। —ফাইল চিত্র।
চিনা আগ্রাসনের আবহে পূর্ব লাদাখে প্যাংগং হ্রদের কাছে স্থলপথ ও আকাশপথের পর এ বার জলপথেরও সুরক্ষা বাড়াল ভারত। ওই এলাকায় নৌবাহিনীর বিশেষ কমান্ডো (মারকোস) মোতায়েন করা হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। মূলত, তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি, লাদাখের চরম ঠান্ডা আবহাওয়ায় ‘মারকোস’-এর সদস্যদের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ হবে বলেও সেনা সূত্রে খবর।
চলতি বছরের এপ্রিল-মে থেকে ভারত-চিন সংঘর্ষের প্রথম দিন থেকে লাদাখের ওই এলাকায় বায়ুসেনার বিশেষ বাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এ বার তার সঙ্গে যুক্ত হল ‘মারকোস’-ও।
সরকারের এক শীর্ষ কর্তা সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, “এপ্রিল-মে থেকে প্যাংগং হ্রদের কাছে যেখানে ভারতীয় এবং চিনা সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি হয়েছিল, সেখানে ‘মারকোস’ মোতায়েন করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: কৃষক বিক্ষোভ: পঞ্জাব-হরিয়ানা তরজা, খট্টরের আক্রমণ নিয়ে পাল্টা তোপ অমরিন্দরের
আরও পড়ুন: বাজারে এলেই সমস্ত দিল্লিবাসীকে ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে টিকাকরণের প্রতিশ্রুতি আপ সরকারের
সেনা সূত্রে খবর, হ্রদের পাহারাদারির জন্য নৌবাহিনীর ওই বিশেষ কমান্ডোদের আধুনিক নৌকা-সহ নতুন সাজসরঞ্জাম দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা এলএসি) বরাবর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই নজরদারির দায়িত্বে রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিশেষ ফোর্স। রয়েছে ক্যাবিনেট সেক্রেটারিয়েটের বিশেষ ফ্রন্টিয়ার ফোর্স। সেই সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বিভিন্ন কৌশলগত এলাকায় আকাশপথের সুরক্ষা জোগাচ্ছে বায়ুসেনার স্পেশাল ফোর্স। যাতে চিনের তরফে ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। ভারতের পাশাপাশি এলএসি-তে বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করেছে চিনও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy