ছবি এএফপি।
অতিমারির প্রকোপের সঙ্গেই ভারতের উত্তর সীমান্তের ঘটনা (চিনা আগ্রাসন) দেশের সুরক্ষা পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে বলে মন্তব্য করলেন নৌসেনা প্রধান কর্মবীর সিংহ। তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও ৬টি ডুবোজাহাজ-সহ বেশ কিছু যান ও উপকরণ কিনবে নৌসেনা। তৃতীয় বিমানবাহী জাহাজের প্রয়োজনীয়তার উপরেও জোর দিয়েছেন তিনি।
চিনা সেনার দ্রুত সম্প্রসারণের ফলে তৈরি চ্যালেঞ্জ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নৌসেনা প্রধান বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টি নিয়ে ওয়াকিবহাল। ভারত মহাসাগরে আমাদের এলাকায় চিনা অনুপ্রবেশের মোকাবিলায় নির্দিষ্ট প্রোটোকল তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের লড়াইয়ের ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ কর্মবীর জানান, কিছু দিনের মধ্যেই ‘মেরিটাইম থিয়েটার কমান্ড’ তৈরির কথা ভাবছে নৌসেনা। তাতে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার মধ্যে সমুদ্রপথে যৌথ পরিকল্পনার মাধ্যমে কাজ করার সুযোগ বাড়বে। ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের আগ্রাসী নীতির মোকাবিলায় ‘কোয়াড’ অক্ষ গড়েছে ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান। সম্প্রতি ভারত-আমেরিকা-জাপানের নৌসেনার মহড়া ‘মালাবার’-এ যোগ দিয়েছে অস্ট্রেলিয়াও। তবে নৌসেনা প্রধানের বক্তব্য, ‘‘এই অক্ষ কোনও দেশকে নিশানা করে গড়া হয়নি।
অংশগ্রহণকারী দেশগুলির সামনে যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে তার মোকাবিলায় সহযোগিতা আরও বাড়বে বলেই আমার বিশ্বাস।’’ তাঁর মতে, ‘কোয়াড’ অক্ষ ও ‘মালাবার’ মহড়ার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কর্মবীরের কথায়, ‘‘মালাবার অংশগ্রহণকারী বাহিনীগুলির মধ্যে একটি পেশাদারি মহড়া। এটা ১৯৯২ সালে শুরু হয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy