তাঁর গাড়ির গায়ে প্রস্রাব করছিলেন কয়েক জন অজ্ঞাতপরিচয়। কেন তাঁরা এ কাজ করছেন, জিজ্ঞাসা করায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক ব্যবসায়ীকে তাঁর প্রেমিকার সামনেই পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল কানাডা এডমন্টনে। ঘটনাটি ১৯ অক্টোবরের। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় ওই ব্যবসায়ীর।
গ্লোবাল নিউজ়-এর প্রতিবেদন বলছে, নিহত ব্যবসায়ীর নাম আরভি সিংহ সাগু। গত ১৯ অক্টোবর রাতে প্রেমিকাকে নিয়ে রেস্তরাঁয় গিয়েছিলেন আরভি। সেখানে খাওয়াদাওয়া সেরে ভোরবেলা রেস্তরাঁ থেকে বার হন। রেস্তরাঁর বাইরে আরভির গাড়ি দাঁড় করানো ছিল। রেস্তরাঁ থেকে বেরিয়ে আরভি দেখেন কয়েক জন অজ্ঞাতপরিচয় তাঁর গাড়ির গায়ে প্রস্রাব করছেন। এই দৃশ্য দেখে আরভি ক্ষুব্ধ হন। তিনি অজ্ঞাতপরিচয়দের জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘এই, এটা তোমরা কী করছ?’’ আরভির ভাই গ্লোবাল নিউজ়-কে জানিয়েছেন, এ কথা শুনে অজ্ঞাতপরিচয়েরা বলেন, ‘‘আমাদের যা ইচ্ছা হয়েছে, তা-ই করছি।’’ তার পর তাঁদের মধ্যে এক জন আরভির দিকে এগিয়ে আসেন। আচমকা তাঁর মাথা এবং মুখ লক্ষ্য করে ঘুষি চালান। অতর্কিত হামলায় রাস্তায় পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন আরভি।
গ্লোবাল নিউজ়-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আরভির প্রেমিকা তখন অজ্ঞাতপরিচয়দের কাছে ক্ষমাভিক্ষা চেয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেও তাঁরা শোনেননি। চলে বেধড়ক মারধর। আরভির প্রেমিকা ৯১১-তে ফোন করে জরুরি ভিত্তিতে সাহায্যের আর্জি জানান। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারীরা পৌঁছে আরভিকে হাসপাতালে ভর্তি করান। তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। ঘটনার পাঁচ দিন পর ২৪ অক্টোবর মৃত্যু হয় আরভির। অজ্ঞাতপরিচয়দের মধ্যে এক জন চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে এডমন্টন পুলিশ জানিয়েছে। ধৃতের নাম কাইল প্যাপিন। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আরভির দুই সন্তান রয়েছে।
গত সোমবারকানাডায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিল্পপতি দর্শন সিংহ সহসিকে গুলি করে খুন করা হয়। সেই হামলার দায় স্বীকার করেছে লরেন্স বিশ্নোই গ্যাং। বাসভবনের সামনেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।