বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে বৈঠকে আমেরিকার উপ-বিদেশসচিব উইন্ডি শেরম্যান। ছবি পিটিআই।
বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে বৈঠকে আমেরিকার উপ-বিদেশসচিব উইন্ডি শেরম্যান। ছবি পিটিআই।
ইরান এবং রাশিয়ার থেকে জ্বালানি কিংবা যুদ্ধাস্ত্র কিনলে আমেরিকার নিষিদ্ধ-তালিকায় চলে যেতে হবে ভারতকে। এ অবস্থায় আমেরিকার উপ-বিদেশসচিব উইন্ডি শেরম্যানের সঙ্গে বৈঠকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য হাতে থাকা ‘কাবুল-তাস’ খেলল ভারত।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, বৈঠকে বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জানান, এই দু’টি দেশই (ইরান, রাশিয়া) আফগানিস্তান-প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক মানচিত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভৌগোলিক এবং রাজনৈতিক, দু’দিক থেকেই তালিবান সরকারের সঙ্গে দর কষাকষির ক্ষেত্রে তেহরান এবং মস্কোর ভূমিকা ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। সন্ত্রাস-প্রসঙ্গে যখন আফগানিস্তানের আর এক পড়শি দেশ পাকিস্তানকে ভরসা বা বিশ্বাস করা যায় না, তখন এই দু’টি দেশ তালিবান নৈরাজ্য সামলানোর প্রশ্নে কাজে আসতে পারে। পাশাপাশি এ কথাও বোঝানো হয়েছে যে, এই দু’টি দেশের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক কটু হলেও, ভারতের তারা ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ফলে পশ্চিম এশিয়া তথা কাবুলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমেরিকা বকলমে ভারতের মাধ্যমে এই দু’টি দেশকে কাজে লাগাতে পারে। নিজেদের স্বার্থেই তাদের উচিত ভারতের সঙ্গে রাশিয়া এবং ইরানের সম্পর্কে নাক না গলানো। বিষয়টিকে মরিয়া কূটনৈতিক প্রয়াস বলেই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির। ইরান থেকে ভারতে সবচেয়ে বেশি শক্তি আমদানি হত। অন্য দিকে, রাশিয়া ভারতের বিশেষ কৌশলগত মিত্র রাষ্ট্র। দু’টি ক্ষেত্রেই আদানপ্রদানে লাল আলো জ্বালিয়ে রেখেছে ওয়াশিংটন। এ দিকে ভারতের শিয়রে শমন, কারণ এই বছরের শেষে এস৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়া থেকে ভারতে আসার কথা। তার আগে যে ভাবে হোক আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা থেকে সাময়িক ভাবে হলেও রেহাই পাওয়া প্রয়োজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy