Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Census

উত্তরপ্রদেশ, বিহারের জন বিস্ফোরণে ভর করেই চিনকে টপকাবে ভারত, পূর্বাভাস রিপোর্টে

ভারতের জনসংখ্যার প্রায় ২৫ শতাংশ দু’টি রাজ্যে বাস করে। বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ। এই দু’টি রাজ্যেই জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অত্যন্ত বেশি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২১ ১০:২৩
Share: Save:

বিশ্বে মোট জমির দুই শতাংশ রয়েছে ভারতে। কিন্তু বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৬ শতাংশ বাস করে এই দেশে। হিসেব বলছে, ভারত ২০২৪ সালের মধ্যেই চিনকে টপকে জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের প্রথম দেশ হতে পারে। রাষ্ট্রপুঞ্জের ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী ভারতের আনুমানিক জনসংখ্যা ১৩৭ কোটি। চিনের ১৪৩ কোটি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হিসেব বলছে, আগামী ৩ বছরের মধ্যই পয়লা নম্বরে চলে আসবে ভারত। ঘটনাচক্রে ১৯৫২ সালে চিনের জনসংখ্যা ছিল ভারতের দেড়গুণ।

ভারতে প্রতি ১০ বছর অন্তর জনগণনা হয়ে থাকে। ২০১১ সালের পর আবার গত ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে জনসংখ্যা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের কাজ। যদিও অতিমারির পরিস্থিতির কারণে জনগণনা সম্পর্কিত বিধিবদ্ধ পদ্ধতি অনেকটাই বদল হয়েছে এ বার।

ভারতের জনসংখ্যার প্রায় ২৫ শতাংশ দু’টি রাজ্যে বাস করে। বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ। এই দু’টি রাজ্যেই জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অত্যন্ত বেশি। পরিসংখ্যান বলছে, ‘ফার্টিলিটি রেট’ (প্রজননক্ষম বয়সে এক জন নারী গড়ে যত সন্তানের জন্ম দেবেন বলে প্রত্যাশিত)-এ সবচেয়ে এগিয়ে বিহার। সে রাজ্যে এই হার সাড়ে ৩ শতাংশেরও বেশি। শুধু বিহার নয়, ২০১১-র জনসুমারির ভিত্তিতে উত্তরপ্রদেশ-সহ উত্তর ভারতের প্রতিটি রাজ্যই জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারে অনেক এগিয়ে ছিল। অন্যদিকে, দক্ষিণ ভারতের সবগুলি রাজ্যেই ‘ফার্টিলিটি রেট’ ২-এর কম। পশ্চিমবঙ্গেও তা ২-এর কম। অর্থাৎ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এই রাজ্য তুলনায় অনেকটাই সফল। ‘ফার্টিলিটি রেট’ সবচেয়ে কম পড়শি রাজ্য সিকিমে। মাত্র ১.৫।

১৯৮৯ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) পরিষদ জনসংখ্যা নিয়ে একটি সম্মেলন করে। এর পরের বছর রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভা সিদ্ধান্ত নেয়, জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে ধারাবাহিক জন সচেতনতা অভিযান চালানো প্রয়োজন। পরিবেশ এবং উন্নয়নের সঙ্গে জনসংখ্যার যোগ নিয়েও সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারতের মতো দেশে তার সুফল দেখা যায়নি। যদিও এ দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ শুরু হয়েছিল সত্তরের দশকে। গত তিন দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধি অনেকটাই কমানো গিয়েছে। আশির দশকের গোড়ায় তা ২ শতাংশের বেশি থাকলেও এখন নেমে এসেছে ১ শতাংশের আশপাশে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE