রেল দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু পুরনো আইনের সুযোগে রেল অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের দায় এড়ানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। এ বার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, ট্রেন থেকে নামা বা ওঠার সময় কেউ আহত হলে বা মারা গেলে তার জন্যও ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবে রেল। ওই ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে দায়ী করে রেল ক্ষতিপূরণের দায় এড়িয়ে যেতে পারবে না।
২০০২ সালের একটি ঘটনায় পটনা হাইকোর্ট ক্ষতিপূরণের যে-নির্দেশ দিয়েছিল, তার বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিল কেন্দ্র। বুধবার সেই মামলার রায়ে বিচারপতি আদর্শকুমার গয়াল এবং বিচারপতি রোহিনটন ফলি নরিম্যানের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ট্রেনে ওঠা বা নামার সময় কেউ আহত হলে বা কারও মৃত্যু হলে সেটা দুর্ঘটনা হিসেবেই দেখতে হবে এবং রেলকে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এটা বলা যাবে না যে, ওই ঘটনা যাত্রীর গাফিলতিতে ঘটেছে। তবে এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলে যাত্রী অথবা তাঁর পরিবারকে আগে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে যে, দুর্ঘটনা ঘটেছে। তার পরে খতিয়ে দেখা হবে পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ।
কেউ আত্মহত্যার চেষ্টা করলে বা মত্ত অবস্থায় ট্রেন থেকে নামাওঠার সময় আঘাত পেলে ১৯৮৯ সালের রেলওয়ে আইনের ১২৪এ ধারা অনুসারে তাঁকে ক্ষতিপূরণের দাবিদার বলে ধরা হয় না। সেটাকে যাত্রীর গাফিলতি বা স্বেচ্ছা-আঘাত হিসেবেই দেখা হয়। ওই আইনের সুযোগ নিয়ে ট্রেনে ওঠা বা নামার সময় কোনও ঘটনা ঘটলে যাত্রীর যাতায়াতের বৈধতা এবং উদ্দেশ্য নিয়ে একাধিক বার প্রশ্ন তুলেছে রেল। সেই সঙ্গে যাত্রীর কাছে টিকিট থাকা না-থাকার প্রশ্ন তুলে ক্ষতিপূরণের দায় এড়ানোর অভিযোগ রয়েছে রেলের বিরুদ্ধে।
সুপ্রিম কোর্টের বুধবারের রায় এই বিতর্কে ইতি টেনে দিল বলে মনে করছে আইনজীবী শিবির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy