কিছু ক্ষণের জন্য অকেজো হয়ে যায় ওয়েবসাইট। তার পর মুহূর্তের মধ্যেই শেষ সব টিকিট! দূরপাল্লার ট্রেনের তৎকাল টিকিট বুকিং করতে গিয়ে হামেশাই এই সমস্যার মুখে পড়তে হয় যাত্রীদের। শুধু অনলাইন বুকিংয়েই নয়, দীর্ঘ ক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও তৎকাল টিকিট পান না অনেকে। অন্য একটা অংশ ট্রাভেল এজেন্টের হাতে মোটা টাকা গুঁজে তৎকাল টিকিট কেটে হাসি মুখে ট্রেনে উঠে যান। তবে এই হাসি যাতে আর দীর্ঘস্থায়ী না হয়, তা নিশ্চিত করতে এ বার তৎকাল টিকিট বুকিংয়ে বড় বদল আনতে চলেছে রেল।
রেলের অধীনস্থ সংস্থা আইআরসিটিসি-তে ভুয়ো ইউজ়ার আইডি তৈরি করে দিনের পর দিন তৎকাল টিকিটের কালোবাজারি হয়েছে। রেলও জানে সে কথা। কালোবাজারি রুখতে তারা বেশ কিছু পদক্ষেপও করেছে। কিন্তু তাতেও পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। এ বার রেল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আইআরসিটিসি-তে যাঁদের অ্যাকাউন্ট রয়েছে, ইউজ়ার আইডির সঙ্গে আধার সংযোগ করাতে হবে তাঁদের। ইউজ়ার আইডির সঙ্গে আধার সংযোগ করা থাকলে তবেই যাত্রীরা তৎকাল টিকিট কাটতে পারবেন।
রেল মনে করছে, এই নিয়ম চালু হলে তৎকাল টিকিটের কালোবাজারি রোখা সম্ভব হবে। কারণ, আধার সংযোগ করা মানে এক জনের পক্ষে একাধিক অ্যাকাউন্ট খোলা সম্ভব হবে না। ফলে প্রয়োজনের বেশি টিকিট কাটতে পারবেন না তাঁরা। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘‘তৎকাল টিকিট কাটার জন্য ভারতীয় রেল শীঘ্রই আধার সংযোগ ব্যবস্থা চালু করবে। এতে যাঁদের সত্যিই তৎকাল টিকিটের প্রয়োজন, তাঁরা সহজেই টিকিট পাবেন।’’
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, আইআরসিটিসি-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ই-টিকিটের কালোবাজারি রুখতে ইতিমধ্যেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করে দিয়েছে রেল। আইআরসিটিসি-র যে সব ইউজ়ার আইডির গতিবিধি সন্দেহজনক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সেই আইডিগুলিকে চিহ্নিত করে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার কাজ করে। এক সময়ে আইআরসিটিসি-তে দিনে ৬০-৬৫ হাজার নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে যেত। নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারে দিনে তা কমে ১০-১২ হাজারে এসে ঠেকেছে। ইতিমধ্যেই ৩.৫ কোটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করা গিয়েছে বলে সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।